ভোটার কার্ডে থাকা ছবি দেখে অনেকেই নিজেকে চিনতে পারেন না। কিন্তু এ ধরনের ছবির দিন ফুরোতে চলেছে বিহারে। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ভোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ঝকঝকে স্মার্ট রঙিন ভোটার কার্ড। এই নতুন ভোটার কার্ড হবে অনেকটা এটিএম কার্ডের মতোই ঝকঝকে। তবে এই নতুন ভোটার কার্ড পেতে ভোটারদের খরচ করতে হবে ৩০ টাকা। যদিও এই টাকা খরচে এতটুকু আপত্তি নেই ভোটারদের। বরং নতুন ভোটার কার্ড পেতে লাইন পড়ছে লম্বা। লাইনে দাঁড়ানো অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। আগামী দিনে গোটা দেশেই এই স্মার্ট রঙিন ভোটার কার্ড চালু হয়ে যাবে। বিহারে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনীর কাজ শেষ হওয়ার পরেই স্মার্ট ভোটার কার্ড তৈরির কাজ গোটা রাজ্যজুড়ে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। বর্তমানে কয়েকটি জেলায় এই নতুন স্মার্ট ভোটার কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
অঙ্কিতা কুমারী নামে পাটনার এক তরুণী বলেছেন, এতদিন ভোটের পরিচয়পত্রে তাঁর যে ছবি ছিল তা দেখে তিনি নিজেই নিজেকে চিনতে পারতেন না। কিন্তু নতুন ভোটার কার্ডে তাঁর ছবি একেবারে ঠিকঠাক উঠেছে। যথেষ্টই ভাল লাগছে।
হরষিত ঝা সিওয়ানের বাসিন্দা। তবে হরষিত কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন। কয়েকদিন আগেই হরষিত নতুন ভোটার কার্ড হাতে পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, নতুন ভোটার কার্ড খুব সুন্দর হয়েছে। আগের ভোটার কার্ডে তাঁর ঠিকানা ভুল ছিল। সেটাও তিনি সংশোধন করে নিয়েছেন।
রাজ্যের সহকারী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আর লক্ষ্মণন বলেছেন, নবীন প্রজন্মের চাহিদা মেনেই স্মার্ট ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৬ লক্ষ ভোটার নিজেদের টাকা খরচ করে এই নতুন ভোটার কার্ড তৈরি করিয়েছেন। এরা সকলেই নবীন প্রজন্মের ভোটার।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বিহারে প্রায় ৯৯.৯ শতাংশের সচিত্র পরিচয়পত্র রয়েছে। বর্তমানে নতুন করে স্মার্ট ভোটার কার্ড তৈরি হচ্ছে। তবে এই ঝকঝকে স্মার্ট ভোটার কার্ড পেতে ভোটারদেরই ৩০ টাকা করে খরচ করতে হবে। রাজ্যের ৪৮ টি জেলাশাসকের কার্যালয়, ৫০টি মহকুমা শাসকের কার্যালয় এবং ১৪৩ টি ব্লক কার্যালয়ের কমন সার্ভিস সেন্টারে এই নতুন ভোটার কার্ড তৈরি করা যাবে। খুব শীঘ্রই আরও ৪০০ ব্লক অফিসেও এই কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। মানুষ যাতে সহজেই নতুন স্মার্ট ভোটার কার্ড পেতে পারেন সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত।
সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তাঁরা নতুন ভোটার কার্ড হাতে পেয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে নবীন প্রজন্মের অনেকেই চাইছেন নতুন স্মার্ট কার্ড হাতে পেতে। তাই যেখানে স্মার্ট কার্ড তৈরি হচ্ছে সেখানে ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল হচ্ছেন নির্বাচনী দফতরের কর্মী অফিসাররা।