উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আর সাত দিন বাকি। এই মুহূর্তে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) নিশ্চিত জয়ের লক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের কৌশল সাজাতে ব্যস্ত। জোটের মোট ৪২৫ জন সাংসদের প্রত্যেকেই যাতে ভোটদানে উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এনডিএ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি রাজ্যের সাংসদদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা দেখবেন, সব এনডিএ সাংসদ যেন ভোটদানের জন্য দিল্লিতে পৌঁছন। ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনডিএ-র সাংসদদের নৈশভোজে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এনডিএ প্রার্থী, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন মুখোমুখি হবেন ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডির। ভোট হবে ৯ সেপ্টেম্বর।
ভোটদানের আগে বিজেপি সাংসদদের জন্য তিন দিনের কর্মশালার আয়োজন করছে। সেখানে শেখানো হবে সঠিকভাবে ব্যালট চিহ্নিত করার নিয়ম ও ব্যালট ভাঁজ করার সঠিক পদ্ধতি। যাতে প্রক্রিয়াগত ভুলে কোনও ভোট বাতিল না হয়ে যায়।
জোটের মূল লক্ষ্য, ক্রস ভোটিং ঠেকানো এবং অবৈধ ভোট এড়ানো, কারণ গোপন ব্যালটের ভোটে দলীয় হুইপ প্রযোজ্য নয়।
লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট সাংসদ ৭৮২। এনডিএ-র কাছে ইতিমধ্যেই ৪২৫ ভোট রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার ৩৯২ ভোটের চেয়ে ৩৩ বেশি।
ওয়াইএসআর কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তাদের সমর্থন জানিয়েছে। তবে এখনও অনিশ্চিত রয়েছে ওড়িশার বিজু জনতা দল (৭ সাংসদ) এবং তেলঙ্গানার ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। এই দুই দলকে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে এনডিএ ও ইন্ডিয়া ব্লক উভয় পক্ষই।
বর্তমানে এনডিএ মোট ভোটের প্রায় ৫৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, লক্ষ্য ৬০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া। তবে ২০২২ সালের রেকর্ড ভাঙা কঠিন হবে। সেই নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড় ৭৪.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন।