দেশের বৃহত্তম শাসকদল বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষদের ওপর অমানবিক আচরণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে, বাংলা ভাষাকে “বাংলাদেশি ভাষা “বা বিদেশি ভাষা বলে চিহ্নিত করে সমস্ত বাংলাভাষী মানুষকে বহিরাগত বলে চিহ্নিত করার চক্রান্ত চালাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে ও তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সরকার পক্ষ একটি নতুন নিন্দা প্রস্তাব এনেছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে বাক-স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে এবং ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ একত্রিত আছে।
এই প্রস্তাবের ওপর দু’ দিন আলোচনা হবে। এই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বক্তব্য রাখবেন।
সরকারের আনা নিন্দা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বাংলা মাতৃভাষা হিসাবে বিশ্বে পঞ্চম আর এশিয়াতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর ভারতে সংবিধান গৃহিত হওয়ার সময় থেকেই বাংলা সংবিধান স্বীকৃত ভাষা। দেশের ৮.৩৩ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসমের বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা বাংলা। তাছাড়াও আন্দামান, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মেঘালয়, মিজোরাম, ওড়িশা,হরিয়ানা,রাজস্থান, দিল্লি, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যাঁরা বাংলায় কথা বলেন।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে,বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমনকি এই রাজ্য থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রেখে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হচ্ছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই সভা এই সব ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।
এইদিন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সরকারের এই প্রস্তাব পেশ করেন।