২০২০ সালের উত্তর-পূর্ব দিল্লির দাঙ্গার সঙ্গে যুক্ত বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলায় জামিন পেলেন না জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ এবং শারজিল ইমাম। দিল্লি হাইকোর্ট মঙ্গলবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানায়, অভিযুক্তদের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
জামিন পাননি মোট ৯ জন অভিযুক্ত। উমর খালিদ, শারজিল ইমাম, সেলিম খান, শিফা-উর-রহমান, আথার খান, মীরান হায়দার, শাদাব আহমেদ, আব্দুল খালিদ সাইফি ও গুফিশা ফাতিমা।
অভিযুক্তদের দাবি, চার্জশিটের ভিত্তিতে বিচার এখনও শুরু হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিচারবিহীন অবস্থায় কারাগারে বন্দি আছেন, তাই মানবিক কারণে জামিন দেওয়া উচিত।
উমর খালিদের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ত্রিদীপ পেজ বলেন, “শুধু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকা মানেই ষড়যন্ত্র নয়। তিনি গ্রুপে কার্যত কোনো সক্রিয় ভূমিকা নেননি। উমরের ভাষণ সর্বদাই গান্ধীবাদী নীতির উপর ভিত্তি করে।”
অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশের পক্ষে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কোর্টে যুক্তি দেন, “উমর খালিদ ও শারজিল ইমাম দেশকে ধর্মীয় লাইনে ভাগ করার ষড়যন্ত্র করছিলেন। তাঁদের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ দেশবিরোধী। তাই তাঁদের জামিন দেওয়া যায় না।
উমর খালিদকে গ্রেফতার করা হয় সেপ্টেম্বর ২০২০-তে। ষড়যন্ত্র, দাঙ্গায় অংশগ্রহণ, বেআইনি জমায়েত এবং UAPA-এর অধীনে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে।
২০২২ সালের মার্চে ট্রায়াল কোর্ট প্রথমবার জামিন খারিজ করে। অক্টোবর ২০২২-এ হাইকোর্টও জামিন মঞ্জুর করেনি।
২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট মামলার শুনানি শুরু করলেও বারবার তারিখ পিছিয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে খালিদের আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবেদন প্রত্যাহার করেন। এরপর এই বছরের ২৮ মে দ্বিতীয়বার ট্রায়াল কোর্টে তাঁদেরজামিন খারিজ হয়।
এর পর বর্তমান আবেদনও হাইকোর্টে খারিজ হলো।
শারজিল ইমামের আইনজীবী আহমদ ইব্রাহিম জানিয়েছেন, তাঁরা হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন।