বিক্রান্ত রায়
অভয়া মঞ্চের কয়েকজন প্রতিবাদী চিকিৎসককে থানায় তলব করা হয়েছিল। সেই মতো থানায় আসেন তাঁরা। আরজিকর আন্দোলনে অন্যতম প্রতিবাদী মুখ তাঁরা। তাঁদের একাংশকে এইভাবে থানায় তলবের ঘটনাকে একেবারেই মানতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। বুধবার গর্জে উঠলেন তাঁরাও। পাশে থেকে বউবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বহু সাধারণ মানুষ। একাধিক চিকিৎসক সেই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।
আরজিকর কান্ডে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে প্রথম থেকেই রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই বিচার এখনও না মেলায় তাঁরা আজও অভয়ার জন্য রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে চলেছেন। কিন্তু এক বছর আগে অভয়া কান্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিলে পা মেলানোর জন্য অভয়া মঞ্চের প্রথম সারির চার ডাক্তারকে বুধবার বউবাজার থানায় ডেকে পাঠানো হয়।
এদিন সিনিয়র ডাক্তার মানস গুমটা, ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী, জুনিয়র ডাক্তার পরিচয় পান্ডা ও ডাক্তার দেবাশিস হালদারকে (WBJDF) পুলিশি জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের সমর্থন করতে এবং প্রতিবাদী ডাক্তারদের দফায় দফায় বিভিন্ন থানায় পুলিশি জেরার নামে ডেকে পাঠিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগে অভয়া মঞ্চের অন্য ডাক্তাররা এদিন মিছিল করে এসে বউবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এদিন প্রতিবাদী ডাক্তারদের সঙ্গে বহু সাধারণ মানুষ মিছিলে পা মেলান। এদিনের এই প্রতিবাদ মিছিল মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু হয়ে বউবাজার থানায় এসে শেষ হয় এবং সেখানে তাঁরা প্রতিবাদী ডাক্তারদের ওপর পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁরা তাঁদের অবস্থান চলাকালীন জানিয়ে দেন যে চার প্রতিবাদী চিকিৎসককে থানায় ডাকা হয়েছে। তাঁদেরকে থানার ভেতরে জেরা চলাকালীন কোনওরকম সমস্যায় ফেলা হলে তাঁদের আন্দোলন আরও জোরালো ও বৃহত্তর করা হবে।
তবে এদিন থানায় ডেকে পাঠানো চিকিৎসকরা দাবি করেন তাঁরা শুধু একা নন, গত এক বছরে অভয়ার বিচারের দাবিতে যে ডাক্তাররা আন্দোলন করেছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করে নানা সময় কখনও হেয়ার স্ট্রিট থানা তো কখনও বউবাজার থানায় ডাকা হচ্ছে জেরা করার জন্য। কিন্তু আদতে তাদের ডেকে পুলিশ নানা ভাবে হেনস্থা করে চলেছে। তবে এই চিকিৎসকদের স্পষ্ট দাবি, তাঁরা এই হেনস্থাকে পাত্তা দিতে নারাজ। পরিবর্তে তাঁরা অভয়ার ন্যায় বিচারের জন্য তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
