বিভিন্ন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ইচ্ছে হলেই ইরানের মতো যে কোনও দেশে হামলা চালানো, গোটা দুনিয়াকে নিজের মতো করেই চালাতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর কথা না শুনলে ‘ট্যারিফ’ চাপিয়ে হাতে না হলে ভাতে মারার ব্যবস্থাও রেখেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে শান্তি ফেরাতে নিজের এমন কাজের জন্য তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত বলেও মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও তাঁর এহেন দাদাগিরি মানতে নারাজ ভারত, চিন, রাশিয়ার মতো প্রথমসারির আর্থিক ক্ষমতাধর দেশগুলো। এবার শুল্ক নিয়ে দাদাগিরিসুলভ ব্যবহারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
চিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন ও সামরিক কুচকাওয়াজ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন ভারত ও চিনের ওপর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার দাপট না দেখায়। পুতিনের মন্তব্য, “ভারত বা চিনের সঙ্গে এভাবে কথা বলা যায় না।” পুতিন অভিযোগ করেন, ট্রাম্প প্রশাসন এশিয়ার দুই বৃহৎ শক্তিকে দুর্বল করার হাতিয়ার হিসেবে অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে। ভারত ও চিনকে ‘অংশীদার’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি আসলে এই দেশগুলোর নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা।”
পুতিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দু-দেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও টেনে আনেন। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন যে ভারত ও চিন অতীতেও ঔপনিবেশিক শাসন ও কঠিন সময় পার করেছে। ওয়াশিংটনের বক্তব্য পুরনো মানসিকতার প্রতিফলন। পুতিনের ভাষায়, ঔপনিবেশিক যুগ শেষ। এখন বুঝতে হবে, অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার চলে না। তবে শেষ পর্যন্ত সব ঠিক হয়ে যাবে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং আবার গঠনমূলক রাজনৈতিক আলোচনায় ফেরা যাবে বলেই আশা ব্যক্ত করেছেন পুতিন।