বিধানসভায় তুমুল অশান্তির জেরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে উঠতেই বিরোধী বেঞ্চে শুরু হয় প্রবল হট্টগোল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। ঠিক সেই সময় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শঙ্কর ঘোষকেও সাসপেন্ড করেন। এরপর মার্শালরা তাঁকে চ্যাংদোলা করে অধিবেশন কক্ষ থেকে টেনে বের করে আনেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এই টানাহেঁচড়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান শুভেন্দু অধিকারী। চিকিৎসকদের বক্তব্য, আপাতত স্থিতিশীল হলেও শঙ্কর ঘোষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। বিজেপির অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে তাঁদের বিধায়ককে অপমানিত ও শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। শাসক দলের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি, বিধানসভায় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা ছাড়া উপায় ছিল না।
ঘটনার পর বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের স্লোগান, অন্যায়ভাবে সাসপেন্ড কেন? অপরদিকে শাসক শিবিরের কড়া প্রতিক্রিয়া, নিয়ম মানতে না জানলে ফলও ভোগ করতে হবে।
বিধানসভা কক্ষের ভেতরে ও বাইরে ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে মার্শালের কাঁধে চাপিয়ে শঙ্কর ঘোষকে বের করে আনা হচ্ছে। টানাহেঁচড়ার দৃশ্য ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
শুভেন্দু, শঙ্কর ছাড়াও এদিন সাসপেন্ড করা হয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দাকেও।