উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। পারিবারিক অশান্তির জেরে দুই তলা বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন এক গৃহবধূ। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, ছ’ বছর আগে আর্চনার বিয়ে হয়েছিল সোনুর সঙ্গে। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। একজন চার বছরের, আরেকজন দু’বছরের। আর্চনার পরিবারের অভিযোগ, বিয়েতে প্রায় দশ লক্ষ টাকা খরচ করলেও শ্বশুরবাড়ি আরও পাঁচ লক্ষ টাকা ও একটি রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেল দাবি করছিল। সেই পণের দাবিতেই আর্চনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ।
আর্চনার ভাই অঙ্কিত পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, সোনুর দাদা প্রমোদ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বোনকে যৌন হেনস্থা করছিল। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে স্বামী ও শাশুড়ি তাঁকে চুপ থাকতে বলে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ১লা সেপ্টেম্বর আর্চনার দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। তখনই আর্চনা ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কথা বলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা উল্টে তাঁকে উস্কানি দেয়।
ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যায়, স্বামী বারবার স্ত্রীকে লাফ দিতে বলছে। অবশেষে তিনি ঝাঁপ দেন এবং মাটিতে পড়ে আহত হন। এরপরও এক ব্যক্তি তাঁকে মারধর করতে থাকে। পাশে দাঁড়িয়ে একটি শিশু “মাম্মি মাম্মি” বলে কাঁদতে কাঁদতে ডাকছে।
ঘটনাস্থল গোঁদা এলাকার ডাকাউলি গ্রাম। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত মহিলার চিকিৎসা চলছে, তাঁর বক্তব্যও রেকর্ড করা হয়েছে। ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
