ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধী মামলায় সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন শুনানির দিন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ৩/৪ জন সাংবাদিক। ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাস পিয়াসের আদালতে।
সামাজিক মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে, সাত দিন আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি প্রোগ্রাম থেকে সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী এবং সাংবাদিক পান্নাসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়। পরে শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধী মামলার আওতায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলাটি সাংবাদিক সমাজ ও রাজনৈতিক মহলে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা বলে তীব্র সমালোচনা হয়েছে।
জামিন শুনানির দিন কয়েকজন সাংবাদিক আদালতে উপস্থিত হয়ে ঘটনাপ্রবাহ খতিয়ে দেখতে যান। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে সাংবাদিক পান্নাকে ৮ম তলার ৩০ নং এজলাসে তোলা হয়। মোক্তাদির রশীদ নামের একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে, কারাগারে সাংবাদিক পান্নাকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না, এ নিয়ে তর্ক শুরু হয়। এসময় বেঞ্চে বসা অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মাহি সাংবাদিককে বেরিয়ে যেতে বলেন।
হঠাৎই সময় টিভির সাংবাদিক আসিফ মোহাম্মদ সিয়াম আইনজীবীকে সাংবাদিক পরিচয় জানালে, ওই আইনজীবী বেঞ্চ থেকে লাফ দিয়ে সিয়ামের কানের ওপর ঘুষি মারেন। পরে কয়েকজন সহযোগী আইনজীবী ও হাজিররা সিয়াম এবং অন্যান্য সাংবাদিককে ঘিরে মারধর শুরু করেন। চড়, থাপ্পড়, লাথি ও কিল, কিছুই বাদ পড়েনি। এতে রক্তাক্ত আহত হন সাংবাদিকরা।
আদালত কক্ষে এই ঘটনা দেখে বিচারক এজলাস থেকে নেমে খাসকামরায় চলে যান। সাংবাদিক সমাজ এই হামলাকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এক চরম আঘাত হিসেবে অভিহিত করেছে এবং দ্রুত বিচার ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে।
এই ঘটনার পর ঢাকার সাংবাদিকরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং নিরাপদে সংবাদ সংগ্রহের নিশ্চয়তা দাবি করেছেন।