মার্কিন শুল্ক চাপানো এবং বাণিজ্যিক উত্তেজনার আবহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব শেষ, বলে দাবি করলেন প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তাঁর দাবি, ট্রাম্প ও মোদির সেই ঘনিষ্ট সম্পর্ক এখন অতীত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এলবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোল্টন বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একসময় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল, কিন্তু “এখন তা শেষ হয়ে গেছে।” এরই পাশাপাশি তাঁর দাবি এই সম্পর্ক খারাপের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছনো।
জন বোল্টনের দাবি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি ও নিত্যদিনের প্রকাশ্য সমালোচনা মোদি- ট্রাম্পের বন্ধুত্বের এই সম্পর্কে বড় আঘাত এনেছে। এলবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বোল্টন বলেন, “হোয়াইট হাউস ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে, যার ফলে মোদি, রাশিয়া ও চিনের আরও কাছাকাছি চলে গেছেন। বেজিং নিজেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।”
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের সময় বোল্টন ভারতের তুলনা প্রসঙ্গেই বলেন, “ট্রাম্প আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নেতাদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন। তিনি যদি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখেন, তবে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কও ভালো। অথচ বাস্তব চিত্র তা নয়।”
বোল্টনের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মানেই ‘খারাপ পরিস্থিতি’ আসবে না এমনটা বলা যাবে না। অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভরসা করা যাবে না। এদিন তিনি এবিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে দেন।
তবে প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক জন বোল্টন মোটেই মার্কিন প্রশাসনের গুডবুকে নেই। সম্প্রতি নথি ও তথ্য অপব্যবহারের অভিযোগে এফবিআই বোল্টনের মেরিল্যান্ডের বাড়ি ও ওয়াশিংটনের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে।
