এবারও দুর্গাপুজোর আগেই ভারতের পাতে পড়তে পারে বাংলাদেশের ইলিশ। প্রতি বছরের মতো বাংলাদেশ সরকার নীতিগতভাবে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো, তার আগেই সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাবে ওপার বাংলার ইলিশ।
সোমবার বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এসএইচএম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ১,২০০ টন ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত জাতীয় রফতানি নীতিতে শর্তসাপেক্ষে ইলিশকে রফতানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় রাখা হয়। এর পরের দুটি রফতানি নীতিতেও একইভাবে তা বহাল থাকে। তবে বাস্তবে অনুমোদনের তুলনায় রফতানি হয় কম। যেমন গতবছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হলেও বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি হয়েছিল মাত্র ৮০২ টন।
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানি শুরু হয় ২০১৯ সালে। প্রথমদিকে বেনাপোল দিয়ে প্রতি কেজি ছয় ডলার দরে ইলিশ পাঠানো হলেও পরে সেই মূল্য দাঁড়ায় ১০ ডলার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৭৬ টন ইলিশ রফতানির মাধ্যমে আয় হয়েছিল সাড়ে ৩৯ লাখ ডলার। ২০২০-২১ সালে রফতানি বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৯৯ টনে এবং আয় হয় ১ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রফতানি হয় ১ হাজার ২৩০ টন, আয় ১ কোটি ২৪ লাখ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৯১ টন, আয় ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮০২ টন ইলিশ রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৮০ লাখ ডলার। তখন প্রতি কেজির মূল্য ছিল ১০ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৯৮ টাকা।
গত পাঁচ বছরের হিসাব বলছে, বাংলাদেশের মোট উৎপাদনের মাত্র শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ ইলিশ রফতানি হয়েছে। তবু প্রতিবছর দুর্গাপূজা ঘিরে এই মাছের চাহিদা আকাশচুম্বী। ভারতীয় বাজারে রূপোলি শস্য ঢুকতেই উৎসবের আমেজ যেন আরও বেড়ে যায়।