কথায় বলে আজ যে রাজা, কাল সে ফকির। হিমালয়ের কোলে মাথা রাখা নেপাল যে মাত্র কয়েকদিনে এভাবে বদলে যাবে তা সম্ভবত আন্দাজ করতে পারেনি কেউই। উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে উত্তেজিত জনতার হাতে আক্রান্ত হন সরকার ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। হামলার শিকার হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস প্রধান শের বাহাদুর দেউবা ও তাঁর স্ত্রী বর্তমান বিদেশমন্ত্রী আরজু রানা দেউবা। বিক্ষোভকারীরা তাঁর কাঠমান্ডুর বাড়িতে হামলা চালায়, মার খান দুজনেই। নেপালের বিক্ষোভে মন্ত্রীর মার খাওয়ার পরে ‘বিফোর-আফটার’ ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে যাওয়ার পর ভাইরাল হওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, উন্মত্ত জনতা মন্ত্রী এবং তাঁর স্বামী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস প্রধান শের বাহাদুর দেউবাকে আক্রমণ করছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই দেখা যায় ৬৩ বছর বয়সী নেপালি কংগ্রেস নেত্রী ও মন্ত্রী প্রাণ বাঁচাতে প্রার্থনা করছেন। ছবিতে দেখা যায়, মন্ত্রীর মুখ রক্তাক্ত হয়ে আছে, বিক্ষোভকারীরা তাঁকে লাথি ও ঘুসি মারছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি জাজবাত ২৪ বাংলা)। ওই দম্পতি আহত হওয়ার পাশাপাশি মারাত্মক মানসিক আঘাত পেয়েছেন।
অথচ মাত্র কদিন আগেই চিত্র ছিল অন্য। ৪ সেপ্টেম্বর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন সরকারের দেওয়া দুটি বিমান উন্মোচন করেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী আরজু রানা দেউবা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি মার্কিন প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জানান, নতুন বিমান দুর্যোগ মোকাবিলায় নেপালি সেনার সক্ষমতা বাড়াবে। কিন্তু মাত্র চার দিন পরেই, পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায়। এই দুই সময়ের ছবিই একত্র করে ‘বিফোর-আফটার’ ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরছে সামাজিক মাধ্যমে।