নেপালে আটকে পড়া বাংলার পর্যটকদের কয়েকদিনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। জলাপাইগুড়ির জনসভায় বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ‘জেন জেড’-এর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ, বর্তমানে সরকার-বিরোধী সংহিস রূপ ধারণ করেছে। এই প্রেক্ষিতেই, সহিংসতা দমনের জন্য, নেপাল সেনাবাহিনী দেশব্যাপী বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি জারি করেছে কারফিউও।
নেপালের আকস্মিক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছেন ভারত থেকে যাওয়া পর্যটকরা। পর্যটকদের সেই দলে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারাও। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে সরকারি জনসভা থেকে বুধবার তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা থেকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পৌঁছেই নেপাল সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
প্রতিবেশী দেশে সরকার-বিরোধী সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে নেপালের সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলির জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। বলেছেন, “শিলিগুড়ি, কালিম্পং এবং নেপাল সীমান্তের কাছাকাছি অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও শান্তি বজায় রাখুন। নিশ্চিত করুন যাতে কেউ কোনও সমস্যায় না পড়েন। নেপাল নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক। এটি আমাদের সমস্যা নয়, তবে আমি এটাও বিশ্বাস করি যে আমাদের প্রতিবেশী ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকব।”
নেপাল সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারা দেশে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে এবং তারপর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
সূত্রের খবর, নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বিমান পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু করেছে কেন্দ্র। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন অন্তত ৪০০ ভারতীয়। নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কিত। দ্রুত দেশে ফিরতে চেয়ে তাঁরা আবেদনও জানিয়েছেন। নয়াদিল্লির নির্দেশে কাঠমাণ্ডুর ভারতীয় দূতাবাস ইতিমধ্যেই এই নিয়ে নেপালি সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
