৯ সেপ্টেম্বর বলি সুপারস্টার আক্কি ওরফে খিলাড়ি কুমার মানে অক্ষয় কুমার পা রেখেছেন ৫৮ বছর বয়সে। বলিউডে অ্যাকশন বা রোমান্টিক হিরো হিসেবে শুধু নয়, ফিটনেস সচেতন হিসেবেও অক্ষয়ের সুনাম আছে। আর তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। তাই ৫৮-তেও এই তরুণ তুর্কি খান ভাইদের পেছনে ফেলে এগিয়ে আছেন অনেকটাই। এবার দেখে নেওয়া যাক অক্ষয়কুমারের প্রতিদিনের ফিটনেস রুটিনে কী কী থাকে:
১.প্রথমেই বলতে হয় অক্ষয় একটি আপ্তবাক্য খুব ভালভাবে মেনে চলেন, আর্লি টু বেড অ্যান্ড আর্লি টু রাইস। রাত সাড়ে নটার মধ্যে অক্ষয় শুতে চলে যান। আর ওঠেন ভোর সাড়ে চারটের সময়। ওঠার পরে শুরু হয়ে যায় শরীরচর্চা, সুতরাং সুস্থ থাকতে গেলে লেট নাইট করলে চলবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডিনার করে শুয়ে পড়তে হবে।
২. রোদ ঝড় জল বৃষ্টি যাই হোক না কেন অক্ষয়ের ফিটনেস রুটিন কিন্তু একদিনও বন্ধ হয় না। স্ট্রেংথ ট্রেনিং, যোগব্যায়াম, জিম, দৌড়নো, জগিং ইত্যাদি নানা ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করেন তিনি, সঙ্গে থাকে হাঁটা। অবশ্যই বাদ দেন না প্রিয় মার্শাল আর্টসকে।
৩.এরপরে আসতে হবে ডায়েট প্রসঙ্গে। বাড়ির তৈরি সাদামাটা ভারতীয় খাবারেই মন ভরে ‘কেশরী ২’ -এর এই অভিনেতার। বাইরের খাবার প্রায় খান না বললেই চলে। শুটিংয়ে প্রতিদিন বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যান। খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রেখে খান। কতটা ক্যালোরি ইনটেক করলেন সেটা দেখার বদলে কতটা পরিমাণ খাবার নিয়ন্ত্রণ করলেন সেটাই দেখেন। তবে হ্যাঁ, তার ডায়েট অবশ্যই সমস্ত রকম পুষ্টি উপাদান দিয়ে ব্যালান্সড ডায়েট হয়।
৪ ইন্ডাস্ট্রিতে অক্ষয়কুমারের একটা সুনাম আছে যে তিনি কোনও নেশা করেন না। না সিগারেট না অ্যালকোহল এমনকি মাঝে মধ্যেও অক্ষয়কুমার অ্যালকোহল পান করেছেন, তা তার অতি বড় শত্রুও বলতে পারবে না। ফলে অকালে চেহারা ফুরিয়ে যায়নি।
৫.সমস্ত রকমের লেট নাইট পার্টি থেকে নিজেকে একেবারে সরিয়ে নিয়েছেন অক্ষয়। এতে যেমন তার মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে তেমনি শারীরিক স্বাস্থ্য । পরনিন্দা পরচর্চায় গিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকে নষ্ট করার পাত্র তিনি নন । এছাড়াও ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। এটা তাকে প্রভূত পরিমাণে মানসিক শান্তি এনে দেয়।
৬.শুটিংয়ে প্রতিদিন একেবারেই নির্দিষ্ট সময়ে কল টাইম ধরে চলে আসেন অক্ষয়। একটু লেট করেন না, আর কাজের ব্যাপারে পুরো মাত্রায় পেশাদারিত্ব বজায় রাখেন। ফলে প্রোডাকশনের সকলের সঙ্গে মানিয়ে চলতে সুবিধা হয়। যা দিনের শেষে এনে দেয় একরাশ ভাল লাগার অনুভূতি।
৭.আর শেষ যে জিনিসটি তিনি করেন তা হল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা। কাজের যত চাপ থাকুক না কেন যতই ব্র্যান্ডের এনডোর্সমেন্ট থাকুক না কেন, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট কখনও তিনি মিস করেন না।
এই না হলে খিলাড়িকুমার, রিল ও রিয়াল দুই লাইফেই তিনি হিরো।
