এই দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অশান্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে আজকের নেপালকে। অথচ যাদের হাত ধরে নেপালে আন্দোলনের সূত্রপাত সেই নেতৃত্বদানকারী ‘জেন জেড’ গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে এই হিংসার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। তাদের দাবি, এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়েছে ‘সুযোগসন্ধানীরা’।
এমন পরিস্থিতিতে নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে আনার কথা প্রস্তাব করেছে আন্দোলনকারীরা। সরকার গঠনের বিষয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় টানা বৈঠকের পর হয় এই সিদ্ধান্ত। আন্দোলনকারীদের মূল দাবির মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং গণহত্যার নির্দেশদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের ব্যবস্থা করা।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে ‘জেন জেড’ আন্দোলনকারীরা আরও যে প্রস্তাব রেখেছে তার মধ্যে আছে নেপালকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণা করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড়সড় সংস্কার আনা। প্রতিবাদকারীদের প্রতিনিধি রেহান রাজ ডাঙ্গাল এই কথা জানান। তারা প্রস্তাব করেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তিনি ২০১৬-২০১৭ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত।
বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছে দুর্নীতি মামলায় স্বাধীন ও বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। দু’মাসের মধ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়ন, যাতে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের সীমা রাখার কথা বলা হয়েছে। সাংবিধানিক সংস্থা ও বিচারব্যবস্থায় রাজনৈতিক প্রভাবিত নিয়োগ বাতিলের পাশাপাশি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নিয়ম চালু করা। এই দাবিগুলির দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তরুণ বিক্ষোভকারীরা।
