সবকিছু ঠিকঠাক চললে কলকাতা মেট্রো রেলের অরেঞ্জ লাইনের কাজ শেষ হবে দুহাজার ছাব্বিশের সেপ্টেম্বরে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন থেকে বেলঘাটা হয়ে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো পথের কাজ ঘিরে যাবতীয় আইনি জটিলতা কাটার উপক্রম হতেই এমন আশার কথা শুনিয়েছেন মেট্রো রেলের কর্তারা।
মেট্রো পথের চিংড়িঘাটা ক্রসিং ঘিরে আইনি জটিলতা কাটাতে হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ মতো বুধবারই বৈঠক করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর, কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরসভা(কেএমসি), কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি(কেএমডিএ), মেট্রো রেল এবং রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। সেই বৈঠকেই নিউ গড়িয়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার মেট্রো করিডর ঘিরে সফল আলোচনা হয়েছে।
মেট্রো রেলের কর্তারা অবশ্য আদালতের বিচারাধীন বিষয় বলে বৈঠক ঘিরে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। তবে সূত্রের খবর, কমবেশি ৭ মাস স্থগিত থাকা অরেঞ্জ লাইনের কাজ খুব দ্রুত আবার শুরু হবে। আর সেই কাজের জন্য চিংড়িঘাটা ক্রসিং ঘিরে ট্রাফিক ব্লকও করা হবে। নভেম্বর মাসে দুটি উইকএন্ডের রাতে (নভেম্বরের ১৪ থেকে ১৬ এবং ২১ থেকে ২৩) ট্রাফিক ব্লক করে চলবে পিলারগুলির ওপরে কমবেশি ২২ টি কংক্রিট সেগমেন্ট বসানোর কাজ।
চিংড়িঘাটায় এই Launching of viaducts বসানো ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক এবং আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। বিতর্ক গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বিচারপতি সুজয় দাস এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ সবপক্ষকে বসে জটিলতা কাটানোর দিশা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছিল। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মতোই সেই বৈঠকটি হয়েছে বুধবার।
রুবি থেকে মেট্রোপলিটন পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইনের ৪.৪ কিলোমিটার সম্প্রসারণে খুব বেশি যাত্রী হচ্ছে না মেট্রো রেলে। মেট্রো কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, চিংড়িঘাটায় আইনি জটিলতা কেটে ৩৬৬ মিটার ভায়াডাক্ট চালু হলেই, লাইনটি সেক্টর ফাইভ-এর আইটি হাব পর্যন্ত আরও ৪ কিলোমিটার পথের সঙ্গে জুড়ে যাবে। এর ফলে অরেঞ্জ লাইন ও গ্রিন লাইন (পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো) লাইনের একটি সংযোগও স্থাপিত হবে। যার সুফল নিতে পারবেন অফিস যাত্রীরা।