নদিয়ার কালীগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৯ বছরের তামান্না হত্যাকাণ্ডের ৮২ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও চার্জশিট জমা দেয়নি পুলিশ। ২৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি ১৪ জন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কোনও কার্যকর পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে দেখা করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তামান্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন। এর প্রতিবাদেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনেই ধর্নায় বসেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৩ জুন, নদিয়ার কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ভোট গণনার দিন। তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় তামান্না। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। অভিযোগের তির শাসক দল তৃণমূলের দিকে, যদিও তা অস্বীকার করে তারা। এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে ২৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়।
নিহতের মা শুরুতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও পরে পুলিশের আশ্বাসে ভরসা রেখে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ৮২ দিন পার হলেও চার্জশিট জমা পড়েনি। অধিকাংশ অভিযুক্ত এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নিহতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্তদের অনেকেই প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে, কিন্তু প্রশাসনের তরফে কোনও সুরক্ষা বা আইনগত পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রশাসনের উপর থেকে ভরসা উঠে যাচ্ছে বলেই জানান সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, মেয়েকে হারিয়ে বিচার পাওয়ার আশায় প্রতিদিন অপেক্ষা করছি। কিন্তু খুনিরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন পুলিশের কাছেও পৌঁছতে পারছি না। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গ্রামবাসীরাও। তামান্নার পরিবারের দাবি, দ্রুত চার্জশিট জমা দিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করুক পুলিশ।