দেশর অন্তর্বতী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকেই সমর্থন করলেন কাঠমাণ্ডুর মেয়র বলেন শাহ। এক বিবৃতিতে শাহ বিক্ষোভকারীদের আতঙ্কিত ও উত্তেজিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সরকার গঠন নিয়ে অযথা তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শও দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, নেপাল এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে।
সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন্দ্র লিখেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার চালাতে আমি দেশের প্রধান হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকিকে সমর্থন করছি। অন্তর্বর্তী সরকার নতুন নির্বাচন করাবে। সরকারই নতুন করে দেশের জনগণের মতামত নেবে।” একই সঙ্গে দেশের ভাবী নেতাদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন বলেন। কাঠমাণ্ডুর মেয়র আরও বলেন, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। কিছুটা ধৈর্য ধরুন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে নেপাল। সাময়িক কোনও ব্যবস্থা নয়, দেশ যাতে অগ্রগতির পথে চলতে পারে তার জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্যই দরকার নতুন সরকার। তাড়াহুড়োর দরকার নেই। নতুন সরকার খুব শীঘ্রই গঠিত হবে।
একইসঙ্গে শাহ দেশের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের কাছেও অবিলম্বে বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।
নেপালে ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কারণে কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের চাপে পদত্যাগে বাধ্য হন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি-সহ এক ডজন মন্ত্রী। একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি কর্তা দেশ ছেড়েছেন বলেও খবর। এই পরিস্থিতিতে দেশের শাসনভার হাতে তুলে নিয়েছে সেনা, তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা জারি। নাম ভেসে ওঠে বলেন শাহর, যিনি নেপালে র্যাপার এবং সুরকার হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। সেই জনপ্রিয়তায় ভর করেই ২০০২ সালে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেন তিনি। নেপালের ছাত্র-যুব আন্দোলনে শামিল না-হলেও দূর থেকেই তাকে সমর্থন করেছিলেন বলেন্দ্র।