ক্যাম্পাসে জলে ডুবে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের কাছে ঝিলে পড়ে যান। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সেই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার একদিন পরেই একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এমন নির্দেশিকা জারি।
যানবাহনে স্টিকার
নয়া নির্দেশিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা পার্কিং স্টিকার থাকলেই কেবল দুই চাকার বা চার চাকার যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, স্টিকারগুলি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান এমন জায়গায় লাগাতে হবে। যাঁদের স্টিকার নেই, তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে গাড়ির নম্বর, ড্রাইভারের পরিচয়পত্র এবং আরোহীর তথ্য জমা দিতে হবে।
সন্ধ্যা ৭টার পরে
সন্ধ্যা ৭টার পরে ক্যাম্পাসে প্রবেশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র না থাকলে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে হবে এবং আসার কারণ লিখিতভাবে জানাতে হবে।
মদ- গাঁজা- রুখতে কড়া পদক্ষেপ
পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্রীর মৃত্যুর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একটি মদের আসরও বসেছিল। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবারও কঠোর বার্তা দিয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “যদি কেউ ক্যাম্পাসে মাদক সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়ে, তাহলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
নিষিদ্ধ সাধারণের মর্নিং-ইভিনিং ওয়াক
প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেক সাধারণ মানুষ হাঁটার জন্য আসেন। এবার তাঁদের জন্যও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাধারণ জনগণের সকাল ও সন্ধেয় হাঁটাহাটি নিষিদ্ধ। প্রশাসনের দাবি, এর ফলে ক্যাম্পাসে অপরিচিতদের চলাচল কমবে এবং নিরাপত্তা আরও কঠোর হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি মোকাবিলায় এই নয়া নির্দেশিকা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয় কিন্তু ইতিমধ্যেএ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ অতীতেও এমন অনেক নির্দেশিকা শুধু কাগজে-কলমেই রেয়েছে। যেগুলি সেভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।
তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেছেন, তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা কম, তাই কিছু ত্রুটি রয়েছে। বিষয়টি সরকারকেও অবহিত করা হয়েছে ।