আদানি গ্রুপের জন্য পরপর সুখবর। কদিন আগেই আদানি এন্টারপ্রাইজেসের বিরুদ্ধে মানহানিকর কনটেন্ট অপসারণে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সব অভিযোগ খারিজ করে দিল সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি। দুটি পৃথক আদেশে সেবি জানিয়েছে, কোনও নিয়মভঙ্গের প্রমাণ মেলেনি।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ করেছিল যে আদানি গ্রুপ তিনটি সংস্থা অ্যাডিকর্প এন্টারপ্রাইজেস, মাইলস্টোন ট্রেডলিঙ্কস ও রেহভার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবহার করে সংস্থার বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে অর্থ এদিক-ওদিক করেছে। সংস্থার শেয়ারের দাম নিয়ে নয়ছয়েরও অভিযোগ উঠেছিল গৌতম আদানির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে সেবিরই তৎকালীন চেয়ারম্যান মাধবী পুরি বুচের বিরুদ্ধে আদানি গোষ্ঠীকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
এবার এই সব অভিযোগ খারিজ করে দিল সেবি। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে যে সমস্ত ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে, তহবিল নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহার হয়েছে এবং কোনও জালিয়াতি বা অনৈতিক লেনদেন হয়নি। যদিও প্রথম থেকেই আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
এই খবর পাওয়ার পরেই এক্স-এ দেওয়া পোস্টে গৌতম আদানি বলেছেন যে সেবির এই রায় প্রমাণ করেছে যে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্বচ্ছতা ও সততা আদানি গ্রুপের চিরকালীন পরিচয়। তিনি দাবি করেন, যারা মিথ্যা প্রচার করেছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
আদানি এন্টারপ্রাইজেসের বিরুদ্ধে মানহানিকর কনটেন্ট অপসারণে আদালতের রায় আসার একদিন আগেই এই গ্রুপকে নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট সরিয়ে নিতে সংবাদ মাধ্যম সহ একাধিক ইউটিউব চ্যানেলকে নোটিস পাঠায় কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। নোটিসে বলা হয়, আদানি গ্রুপকে উল্লেখ করে বা সেই সংক্রান্ত প্রকাশিত মোট ১৩৮টি ভিডিয়ো ও ৮৩টি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট অবিলম্বে সরাতে হবে।