গত রবিবার করমর্দন বিতর্কে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে এখন সেই বিতর্কের মীমাংসা অনেকাংশেই হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এশিয়া কাপ থেকে পাইক্রফ্টকে অপসারণের দাবিতে আইসিসিতে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে বলে পাক দাবি। আইসিসি সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করলেও শেষপর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ম্যাচ রেফারি। আর এর পরই সামনে এল প্রকৃত সত্য। জানা গেল, পাইক্রফ্টের উপস্থিতিতে সে দিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টসের ঠিক আগে কী ঘটেছিল।
করমর্দন বিতর্কে আইসিসির কাছে পাইক্রফ্টের বিরুদ্ধে ক্রিকেটের নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ এনেছিল পাক বোর্ড। সূত্রের খবর, সেদিন টস হওয়ার মাত্র ৪ মিনিট আগে পাইক্রফ্টের কাছে বার্তা গিয়েছিল যে, ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এই বার্তা দিয়েছিল খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এর পর মাঠে নামার ঠিক আগে তা ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টকে জানিয়ে দেন এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের ভেন্যু ম্যানেজার।
এই প্রসঙ্গে সাফাই দিয়েছে মহসিন নকভির ক্রিকেট বোর্ডও। পিসিবি’র উক্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই করমর্দন না করার নিয়মটি আইসিসিকে অবশ্যই জানানো উচিত ছিল ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্টের। তবে টসের মাত্র ৪ মিনিট আগে নির্দেশ এসে পৌঁছনোর ফলে জিম্বাবোয়ের এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিল না। যদি তা থাকত, তা হলে অবশ্যই তিনি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থাকে বিসিসিআইয়ের এ বার্তা সম্পর্কে অবহিত করতেন বলে জানিয়েছে পাক বোর্ড। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে যে, ঠিক এই কারণেই ম্যাচ রেফারি করমর্দন না করার নিয়মটি প্রথমে সলমন আঘাকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর আশা ছিল, পাক অধিনায়ক যদি সূর্যকুমারের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেন তা হলে তাঁকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
পাইক্রফ্টকে এশিয়া কাপ থেকে অপসারণের দাবি মানা না হলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ বয়কটের হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান। যদিও নিজেদের অবস্থানে শেষ পর্যন্ত দৃঢ় থাকতে পারেনি তারা। প্রায় এক ঘণ্টা দেরি হলেও শুরু হয় ম্যাচটি। এবং জয়ের মাধ্যমে সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত করে সলমন আঘার দল। এ সময় পিসিবির তরফে দাবি করা হয়, ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট পাকিস্তান দলের ম্যানেজার এবং অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। যদিও সেই সঙ্গে এও নিশ্চিত করা হয় যে, ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেবল ভুল বোঝাবুঝির ভিত্তিতেই।
