শনিবার থেকে দুর্গাপুজো ২০২৫-এর উদ্বোধন শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিনই তিনি উদ্বোধন করবেন শহরের দুই বড় আকর্ষণ, উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয় এবং লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো। তবে শনিবার উদ্বোধনের দিনে দুটি প্যান্ডেলই সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ থাকবে। শ্রীভূমির অক্ষরধাম মন্দির-প্রেরণায় তৈরি মণ্ডপটি রবিবার সন্ধ্যা থেকে খুলে যাবে দর্শনার্থীদের জন্য। আর টালা প্রত্যয়ের “বীজ অঙ্গন” থিম দেখা যাবে বৃহস্পতিবার থেকে।
ভিড় সামলাতে প্রস্তুত বিধাননগর পুলিশ। এক অফিসার জানিয়েছেন, শনিবার থেকে দুই শিফটে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। রবিবার থেকে অতিরিক্ত ১,০০০ পুলিশ নামানো হবে শ্রীভূমি এলাকায়, কারণ সেখানে সাধারণত ভিড় বাড়লে ভিআইপি রোডে গাড়ি জট তৈরি হয়। পুলিশ পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করছে যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী নজরুল মঞ্চে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর উদ্বোধন করবেন আরও কয়েকটি বড় পুজোর। তালিকায় নাকতলা উদয়ন সংঘ, ৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্ক, বাবুবাগান এবং চেতলা অগ্রণী। চেতলা অগ্রণীতে তিনি দেবীর চোখ আঁকবেন। এরপর জেলাগুলির বেশ কিছু পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন।
সোমবারের তালিকায় রয়েছে আলিপুর সর্বজনীন, চেতলা কলহল গোষ্ঠী, বেহালা নতুন দল, বড়িশা, হরিদেবপুর ৪১ পল্লি, অজেয় সংহতি, বোসপুকুর তালবাগান, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাব এবং কালীঘাট মিলন সংঘ।
মঙ্গলবার হবে মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে ব্যস্ত দিন। সেদিন তিনি উদ্বোধন করবেন মুদিয়ালি, শিবমন্দির, সমাজসেবী, বালিগঞ্জ কালচারাল, ত্রিধারা, ৬৬ পল্লি, বাদামতলা, আদি বালিগঞ্জ, একডালিয়া এবং সিংহি পার্ক।
লেকটাউন-দমদম পার্ক এলাকা, যেখানে ১৬টি বড় পুজো হয়, সেটাই পুলিশের কাছে সবচেয়ে বড় ট্র্যাফিক চ্যালেঞ্জ। বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, ভিআইপি রোড ও সল্টলেকে ৪,০০০-এরও বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। গোলাঘাটা থেকে বাঙুর অ্যাভিনিউ পর্যন্ত গ্রিন চ্যানেল তৈরি করা হবে, যাতে ভিআইপি রোডের গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়।
উল্টোডাঙা থেকে আসা বাসগুলো সার্ভিস রোড দিয়ে গোলাঘাটা পর্যন্ত যাত্রী নামিয়ে দেবে, তারপর সরাসরি বাঙুর অ্যাভিনিউ যাবে, মাঝপথে আর কোথাও থামবে না। প্রয়োজনে কলকাতামুখী রাস্তায় একটি আলাদা লেন করে দেওয়া হবে এয়ারপোর্টগামী গাড়ির জন্য। কিছু বাস রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভিআইপি রোডে পুজোর দিনগুলোতে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এছাড়া রিকশা ও ধীরগতির গাড়িও ওই সময়ে চলবে না।