জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় শুক্রবার ভোরে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াই। এই সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। সেনার প্রাথমিক অনুমান, অন্তত তিন থেকে চারজন জঙ্গি, যারা জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের সদস্য, ওই এলাকায় সেনাবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলেছে।
প্রথমে সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে ঘটনাটি কিশতওয়ারের সাধারণ এলাকায় ঘটেছে। তবে পরে হোয়াইট নাইটস কর্পস-এর তরফে এক্স-এ লেখা হয়—”সংঘর্ষ চলছে ডোডা-উধমপুর সীমান্তবর্তী এলাকায়। অভিযান অব্যাহত।”
এই অভিযান মূলত ডুডু-বসন্তগড় পাহাড়ি এলাকায় চালানো হচ্ছে।
বিশেষ সূত্রে খবর পাওয়ার পর সেনা, স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ এবং পুলিশ যৌথভাবে এলাকা ঘিরে ফেলে। জঙ্গিদের সঙ্গে প্রথমে গুলি বিনিময় শুরু হয়, যেখানে এক সেনা জওয়ান গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এই এলাকা গত এক বছরে বারবার জঙ্গি কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে।
২৬ জুন, ডুডু-বসন্তগড় অরণ্যে সংঘর্ষে হায়দার, শীর্ষ জইশ কমান্ডার, নিহত হয়েছিল। হায়দার প্রায় চার বছর ধরে ওই অঞ্চলে সক্রিয় ছিল।
২৫ এপ্রিল, একই এলাকার বসন্তগড়ে এক সেনা জওয়ান জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন। এবারের সংঘর্ষ আবারও প্রমাণ করল যে, জইশ-ই-মহম্মদের উপস্থিতি এখনও সক্রিয়।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট শুক্রবার একযোগে তল্লাশি চালায় উপত্যকার সাতটি জেলায়—শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, হান্দওয়ারা, পুলবামা ও শোপিয়ান।
তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে একাধিক নথি ও ডিজিটাল ডিভাইস, যা সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ বলে মনে করছে পুলিশ।