মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসা নীতির জেরে কী ফের ধাক্কা খেতে চলেছে ভারত। বিদেশি পেশাদারদের নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রের মানুষজন মনে করছেন যে সেটা অনেকাংশেই সত্যি। কারণ কারণ ভারত ও চিন থেকে আসা দক্ষ কর্মীদের উপরই মূলত নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রের টেক ইন্ডাস্ট্রি।ভিসা ফি বিপুল পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রযুক্তিক্ষেত্রের সংস্থাগুলো আর ভারত ও চিনের কর্মীদের উপর নির্ভর না করে দেশীয় প্রযুক্তিবিদদেরই নিয়োগ করবে। ফলে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ভারতীয় কর্মীদের আমেরিকায় গিয়ে কাজে ভালই প্রভাব পড়তে পারে।
কিন্তু এই এইচ-১বি ভিসা ঠিক কী? আসলে এইচ-১বি হল একটি অস্থায়ী মার্কিন কাজের ভিসা, যা বিদেশি পেশাদারদের নিয়োগের সুযোগ দেয়।এটি ১৯৯০ সালে মার্কিন দেশে তৈরি হয়েছিল বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অঙ্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি পূরণ করতে।নিয়ম মত প্রথমে তিন বছরের জন্য দেওয়া হয় এই ভিসা, যা সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়।
এইচ–১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় বহু ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন। তবে ট্রাম্পের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, এবার এইচ–১বি ভিসার জন্য বছরে এক লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লক্ষ) দিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তের ফলে ঠেলায় পড়ে কোম্পানিগুলি শুধুমাত্র সেই দক্ষ বিদেশি কর্মীকেই নিয়োগ করবে, যাঁদের কাজ আমেরিকান কর্মীরা করতে পারবেন না।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এইচ-১বি ভিসাধারীদের মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বেশি ভারতীয়। গত বছর অনুমোদিত ভিসার ৭১ শতাংশই ছিল ভারতীয়দের জন্য। আর মাত্র ১১.৭ শতাংশ নিয়ে চিন ছিল দ্বিতীয় স্থানে।তথ্য বলছে কাজ করানোর জন্য ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে অ্যামাজন ও তার ক্লাউড ইউনিট এডব্লিউএস ১২,০০০-এর বেশি এইচ-১বি ভিসার অনুমোদন পেয়েছে। মাইক্রোসফট ও মেটা প্ল্যাটফর্মও ৫,০০০-এর বেশি ভিসা অনুমোদন পেয়েছে।
তবে নতুন ফি জারি হলে ভারতীয় আবেদনকারীদের জন্য মার্কিন ভিসা পাওয়া আরও কঠিন ও খরচার হয়ে উঠবে। আসলে এই অর্থের বোঝা আসলে চাপবে আবেদনকারীদের উপরেই। পাশাপাশি বারবার ভিসা রিনিউ করতে গেলেও দিতে হবে ৮৮ লক্ষ টাকার বেশি।কাজেই ভারত ও চিনের কর্মীদের আমেরিকায় চাকরি পাওয়াটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Leave a comment
Leave a comment