প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিক ঘোষণা করেছেন, H-1B ভিসার জন্য ১ লাখ ডলারের ফি লাগবে। তারপরেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন আমেরিকায় H-1B ভিসা থাকা বহু ভারতীয়। ট্রাম্পের ঘোষণার পর অনেকেই বিদেশে আটকে পড়েন। বড় বড় টেক কোম্পানি যেমন অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, শনিবার তাদের বিদেশে থাকা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯:৩১ এর মধ্যে ফিরতে হবে।
এই হঠাৎ সিদ্ধান্তের কারণে অনেকেই পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে বা অনুষ্ঠান থাকলে মাঝপথে সব বাতিল করতে বাধ্য হন অনেকেই রেডিটে একজন ব্যবহারকারী “saramuh” জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিচিতদের কতটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমার মা কাঁদছেন তার কারণ আমি কয়েক মাস পরে বাড়ি এসেছিলাম এবং সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেছি। পুরো একটা সপ্তাহ একসঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা ছিল। যা হলো, এটা খুবই অন্যায়।” কেউ কেউ এমনকি নিজেদের বিয়ের পরিকল্পনাও বাতিল করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
জনৈক ব্যক্তি জানান, “এটা যেন একেবারে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা! আপনার যদি বৈধ H-1B ভিসা থাকে, তবুও যদি আপনি ভ্রমণে বা ছুটিতে থাকেন, তাহলে ১০০,০০০ ডলারের দেওয়ার প্রমাণ ছাড়া আপনি আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। কেউ জানে না কী করতে হবে, সমগ্র পরিস্থিতি পুরোপুরি অজানা। সবাই আতঙ্কিত”।
প্রথমদিকে, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা বা ব্যাখ্যা না থাকায় অনেক পরিবার সমস্যায় পড়েছিল। পরে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে, পুনঃপ্রবেশের সময় নিয়োগকর্তাদের এই বড় ফি দিতে হবে না, যা অনেকের জন্য কিছুটা স্বস্তি এনেছে। কিন্তু ক্ষতি তখনই হয়ে গেছে। তবে বেশিরভাগ H-1B আছে এমন সব ভারতীয়, এবং নতুন আবেদনকারীদের জন্য ১০০,০০০ ডলারের ফি আরোপিত হলে অনেকের “আমেরিকান ড্রিম” অসম্ভব হয়ে যেতে পারে।
জনৈক ব্যক্তি জানান,“এই সময়টা খুবই অদ্ভুত। নতুন প্রশাসনের কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ছয়-সাত মাস হলো। আর তারপরেই সবকিছুই যেন পাগলের মতো করে চলেছে। মানুষ সত্যিই ভাবছে, তারা কি এখনও আমেরিকায় জীবন গড়তে পারবে কি না সবকিছুই এখন খুব অনিশ্চিত।”