নেপালে ভোট দেওয়ার ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হল। সাম্প্রতিক জেন-জি আন্দোলনের জেরে হওয়া নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি ঘোষণা করেছেন এমনটাই। তিনি তরুণ ভোটারদের ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্ধারিত সংসদ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে নেপালের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রথম টেলিভিশন ভাষণে কার্কি জানান, তরুণদের বৃহত্তর প্রতিনিধিত্বের দাবি মেনে এবং তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুশীলা কার্কি বলেন, “এই জটিল পরিস্থিতির সমাধান খুঁজে বের করতে সরকার ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় জনবল, বাজেট, নির্বাচন সামগ্রী, নিরাপত্তা ও আইনি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি ৫ মার্চের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়ের পরিবেশমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।” তিনি আরও জানান যে বর্তমান নির্বাচন আইন অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়েছে, যাতে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সি তরুণ প্রজন্মের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
সুশীলা কার্কি দায়িত্ব গ্রহণের পরই সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলকে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আহ্বান জানাতে বলেছেন। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে সব নাগরিক, যারা বাস্তুচ্যুত বা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন তাদেরও ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এমন প্রতিনিধিদের বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান, যারা তরুণদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম।