মধ্যপ্রদেশে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। শুক্রবার ধর জেলার বিকাশ নামে পাঁচ বছরের এক শিশুকে মায়ের চোখের সামনে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করার অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে উঠেছে। জানা গিয়েছে যে, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন শিশুটির মা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্ত মহেশ (২৫) একটি মোটরসাইকেলে চড়ে কালু সিংহ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে পড়ে। ওই পরিবারের সঙ্গে তার কোনও পরিচয় ছিল না। হঠাৎই বাড়ির ভেতরে রাখা ধারালো কোদালের মতো অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে সে শিশুটির উপর আক্রমণ চালায়। মুহূর্তের মধ্যে শিশুটির মাথা দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর সে বিকাশের দেহে আরও আঘাত করতে থাকে।
শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার মা। কিন্তু অভিযুক্তের হাতে তিনিও আহত হন। ছেলের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর মানসিক আঘাতে ভেঙে পড়েন শিশুটির মা। তাঁর চিৎকারে চারপাশের মানুষ ছুটে আসেন বাড়িতে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা মহেশকে ধরে মারধর শুরু করেন। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় যুবকের।
ধর জেলার পুলিশ সুপার মায়ঙ্ক অবস্থি এই হত্যাকাণ্ডকে “চরম হৃদয়বিদারক” বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, অভিযুক্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এসপি জানান,”আসল মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।”।
অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এনিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, মহেশ আলিরাজপুর জেলার জোবাট বাগদির বাসিন্দা। তার পরিবার পুলিশের কাছে জানিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং ঘটনার তিন-চার দিন আগে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার এক ঘণ্টা আগেই স্থানীয় একটি দোকান থেকে চুরি করার চেষ্টা করেছিলেন মহেশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।