লাদাখের পরিবেশ কর্মী ও বিখ্যাত প্রযুক্তিবিদ সোনম ওয়াংচুক নিজে কোনও জঙ্গি আন্দোলন নয়, কয়েক দিন ধরে কিছু নির্দিষ্ট দাবি পূরণের জন্য অনশন চালাচ্ছিলেন। আর তাঁর এই অনশনেই আরব বসন্ত, নেপাল আন্দোলনের জুজু দেখছে কেন্দ্র সরকার। প্রশাসনের দাবি, তাঁর এই আন্দোলনের পিছনে ‘গোপন উদ্দেশ্য’ ছিল এবং সরকার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তিনি অনশন ভাঙেননি।
লাদাখের রাজ্যের মর্যাদা এবং তা ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিলেন জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুক।গত মঙ্গলবার লাদাখে হিংসার ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৫০ জনের বেশি, যার মধ্যে নিরাপত্তাকর্মীরাও ছিলেন। এই ঘটনার জেরেই ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। লাদাখ প্রশাসন জানায়, ওয়াংচুকের কর্মকাণ্ড ‘অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর’ এবং ‘শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধা সৃষ্টি করছে।‘
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “নেপাল আন্দোলন, আরব বসন্ত ইত্যাদির উল্লেখসহ তাঁর ধারাবাহিক উস্কানিমূলক বক্তৃতা ও বিভ্রান্তিকর ভিডিওর ফলে সহিংস প্রতিবাদ শুরু হয়।” জানানো হয়, “শান্তিপ্রিয় লেহ শহরে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা জরুরি। এজন্য শ্রী সোনম ওয়াংচুককে এমন কোনও কাজ করতে দেওয়া যাবে না যা শৃঙ্খলা রক্ষার পরিপন্থী।”
এই সব কারণ দেখিয়েই প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-এর অধীনে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।শুধু তাই নয় জলবায়ু কর্মী ওয়াংচুককে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়েছে।
প্রখ্যাত পরিবেশবিদ ও শিক্ষাবিদ সোনম ওয়াংচুককে এনএসএ-র অধীনে গ্রেপ্তার করায় বিরোধী দলগুলি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, এই গ্রেফতারি লজ্জাজনক। বিজেপি সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় চরম ব্যর্থতার দায় এড়ানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিও।
Leave a comment
Leave a comment