পুজোর আগের সপ্তাহান্তেই কলকাতার রেস্তোরাঁ-বারে রেকর্ড ভিড় জমেছে। শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যা থেকে পার্ক স্ট্রিট সহ শহরের বড় বড় রেস্তোরাঁ, শপিং মলগুলিতে দেখা গেছে বিশাল সর্পিল লাইন। পূর্ব ভারতের হোটেল-রেস্তোরাঁ সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হোটেল-রেস্টুরেন্টস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া(এএইচইআই) জানিয়েছে, গত বছরের আরজি কর আন্দোলনের কারণে যে ভাটা এসেছিল, এ বছর সেই ঘাটতি পুরোপুরি মিটে গিয়েছে।
পার্ক স্ট্রিটের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ পিটার ক্যাট এই সপ্তাহে অতিরিক্ত ১৫০টি আসন বাড়িয়ে মোট ৩২৫টি আসন করেছে। মালিক নিতিন কোঠারি বলেন, “গত সপ্তাহ থেকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। শেষ দু’দিনে নজিরবিহীন ভিড় হয়েছে। মোকাম্বো শুক্রবার রাত থেকে টানা হাউসফুল। আমার স্মৃতিতে এত বড় ভিড় আর দেখিনি। দীপাবলি পর্যন্ত এই ধারা চলবে বলেই মনে হচ্ছে।”
এএইচইআই-এর সভাপতি সুদেশ পোদ্দার জানিয়েছেন, এ বছর ভিড় অন্তত ২০%-২৫% বেশি। তিনি বলেন, “সব রেস্তোরাঁতেই রেকর্ড ভিড়। ষষ্ঠীর রাতে ইন্ডিয়া-পাকিস্তান এশিয়া কাপ ফাইনাল হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জমজমাট হবে। প্যান্ডেল হপিংয়ের পর ক্রিকেট ভক্তরা পরিবার নিয়ে রেস্তোরাঁয় ঢুকবেন। সেটি হবে ডাবল-হিট।”
পোদ্দারের মালিকানাধীন সাংহাই, এমএস বার অ্যান্ড লাউঞ্জ ও মন্থন, এই তিনটি রেস্তোরাঁর সম্মিলিত আসনসংখ্যা বৃহস্পতিবার থেকে ৪০০ থেকে বেড়ে ৪৭৬ হয়েছে।
পিটার হু রেস্তোরাঁর সিদ্ধার্থ কোঠারি জানান, “শুক্রবার রাত থেকে ভিড় ২০% বেশি। সঠিক সংখ্যা গণনা করা হয়নি, তবে এ বছরের পুজোর উৎসাহ অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ইতিমধ্যেই সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। সামনে আরও বাড়বে।”
অন্যদিকে, ওয়েসিস এবং ওয়ান স্টেপ আপ-এও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভিড় হয়েছে। ওয়ান স্টেপ আপ-এর বিরাজ কোঠারি বলেন, “প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে, আবহাওয়া ভাল থাকলে আরও বাড়বে।”
সব মিলিয়ে, পুজোর আমেজে শহরের রেস্তোরাঁ-বারগুলিতে অভূতপূর্ব উৎসবমুখর ভিড়, আর ষষ্ঠীর ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সেই উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই প্রত্যাশা।