মৈত্রীর পুজো নিয়ে বলতে গেলে, ফিরে যাব গত বছরের বিজয়ার সন্ধ্যায়। বিসর্জনের বেদনা বুকে নিয়ে যখন মৈত্রীর সদস্য সদস্যারা একে একে মণ্ডপ থেকে ফিরছিলেন বাড়ির পথে তখন তাঁদের চোখের ভাষা বলে দিচ্ছিল যে আগের তিন দিন তাঁরা মনে প্রাণে চেয়েছিলেন এই ‘সময়’ যেন থেমে থাকে, হয়ে থাকে চিরন্তন। কিন্তু কালের নিয়মে সময় যে থেমে থাকেনা, রয়ে যায় প্রতীক্ষা আবার সেই দিন গুলো ফিরে পাবার, আশায় দিন গোনে মানুষ। নতুন বছরের শুরুতে মৈত্রীর সামাজিক কর্মকান্ডের যে রূপরেখা তৈরী হয়েছিল, তার সুষ্ঠু রূপায়ণের মধ্যে দিয়ে যে কি দ্রুত অতিক্রান্ত হল একটা বছর, ভাবলে সত্যিই অবাক হতে হয়।
সিয়াটেলের স্কুল কলেজে গ্রীষ্মের ছুটি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই মৈত্রীর দূর্গা পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায়। তিলে তিলে বাস্তবায়িত হতে থাকে দুর্গোৎসব উৎযাপনের পরিকল্পনা। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। আর কদিনেই সেজে উঠবে মেপেল ভ্যালি সংলগ্ন মেপেল ভিউ মিডল স্কুলের কমন্স এর চত্বর, বাজবে বোধনের ঢাক, বেদ মন্ত্রে হবে দেবী দুর্গার আবাহন, “যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা”
মৈত্রীর সর্বজনীন দূর্গা পুজো এবার চতুর্থ বর্ষে। সংস্থার এই চলার পথে আমরা সঞ্চয় করেছি অনেক অভিজ্ঞতা, সঙ্গে পেয়েছি কত নতুন মানুষকে, তাঁদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও উৎসাহ আমাদের লক্ষ্যটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, দিয়েছে অশেষ তৃপ্তি। সিয়াটেলের জনমানসের জন্য এই উৎসবের আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত।
সিয়াটেল মৈত্রী,
পশ্চিম উপকূল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র