দুদিন আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানে ক্ষতির কথা পাক প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের কূটনীতিক ও স্থায়ী প্রতিনিধিদলের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গেহলট। এবার পাকিস্তানকে টেররিস্তান বা সন্ত্রাসীস্তানের আখ্যা দিলেন ভারতের স্থায়ী মিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি রেন্তালা শ্রীনিবাস।
শনিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে সাধারণ বিতর্কে জয়শঙ্কর বলেন, “বড় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলাগুলোর সূত্র খুঁজলে দেখা যায় সবই এক দেশের দিকে গিয়ে ঠেকে।” তিনি সেই দেশকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এরপর পাকিস্তানের প্রতিনিধি অভিযোগ করেন যে ভারত পাকিস্তানকে ‘অপবাদ’ দিচ্ছে এবং এটা একটা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে করা মিথ্যের পুনরাবৃত্তি’।
এরপর ভারতের স্থায়ী মিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি রেন্তালা শ্রীনিবাস পাল্টা জবাবে বলেন, “নাম না নেওয়া সত্ত্বেও যে প্রতিবেশী দেশ উত্তর দিতে বাধ্য হল, সেটাই প্রমাণ করে যে তারা সীমান্তপারের সন্ত্রাস চালানো তাদের যে দীর্ঘদিনের অভ্যেস তা স্বীকার করে নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কাজের ছাপ সারা বিশ্বের নানা ভূগোলে দেখা যায়। তারা কেবল প্রতিবেশীদের নয়, পুরো বিশ্বের জন্য বিপদের। তিনি আরও কড়া ভাষায় বলেন, “কোনও যুক্তি বা মিথ্যা দিয়ে কখনই সন্ত্রাসীস্তানের অপরাধ ধোয়া যাবে না।” এই মন্তব্যের পর তিনি সভাকক্ষ ত্যাগ করেন।
জয়শঙ্কর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেসব দেশ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকেই রাষ্ট্রনীতির অংশ বানায়, সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে ইন্ধন জোগায় তাদের বিরুদ্ধে নির্দ্বিধায় ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্ত্রাসের জন্য অর্থ দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং সন্ত্রাসীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
এর আগেই ভারত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘর্ষ নিয়ে ‘বিকৃত বিবরণ’ দেওয়াকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করে। ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেটাল গেহলট জানান যে যদি ভাঙা রানওয়ে ও পুড়ে যাওয়া হ্যাঙ্গারকে পাকিস্তান জয় বলে মনে করে তাহলে সেই জয় উদযাপন করতে পারে।
Leave a comment
Leave a comment