
সম্ভবত আরও ভয়ঙ্কর রক্তপাতের দৃশ্য দেখতে হল না বিশ্বকে।যে চুক্তি না মানলে ধ্বংসলীলার যে হুঁশিয়ারি ট্রাম্প দিয়েছিলেন তা অবশেষে মেনেই নিল হামাস।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনায় হামাস সব ইজরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে।এই খবর পেতেই ইজরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
জানা যাচ্ছে হামাস ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনা মেনে নেওয়ার পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দফতর জানায়, বন্দি মুক্তির প্রথম ধাপের জন্য পরিকল্পনাটি অবিলম্বে কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। শুক্রবারই হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে। ট্রাম্প এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, রবিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হামাস পরিকল্পনা না মানলে ‘অভূতপূর্ব নরক নেমে আসবে’।

গত সোমবার হোয়াইট হাউসে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় ট্রাম্প পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার কথা জানান।এতে প্যালেস্তাইন প্রতিষ্ঠার কোনও রূপরেখা না থাকলেও হামাসকে গাজার শাসন ক্ষমতা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে বলা হয়।এর বিনিময়ে গাজায় ত্রাণ পৌঁছনোর অনুমতি দেওয়া হবে এবং ইজরায়েল ১ হাজার ৪২০ জন প্যালেস্তেনীয় বন্দিকে মুক্তি দেবে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী হামাসের নিরস্ত্রীকরণের পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।তবে হামাস তাদের জবাবে বন্দি বিনিময়, যুদ্ধবিরতি ও সাহায্য প্রবেশে সম্মতি জানালেও নিরস্ত্রীকরণ বা ধাপে ধাপে ইজরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি।

সংগঠনের এক শীর্ষ নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, গাজা থেকে দখলদারিত্ব শেষ না হলে নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব নয়।তবে হামাসের সদর্থক বার্তা আসার পরই ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, হামাসের এই সম্মতি ‘স্থায়ী শান্তির ইঙ্গিত’। তিনি দ্রুত ও নিরাপদে বন্দিদের মুক্ত করতে ইজরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে বলে সরাসরি নির্দেশ দেন।নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রেখেই যুদ্ধ শেষ করার পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে নেতানিয়াহুর দেশ।