
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেছেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার সংস্কার করা আবশ্যক, আর ভোটের পর তাই নিয়ে পর্যালোচনা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি এই মন্তব্যে বিরোধী দলগুলির সমালোচনার জবাব দিয়েছেন, যারা বিহার নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল।

পাটনায় দুই দিনের সফরে আসা নির্বাচন কমিশনার রবিবার সাংবাদিকদের বলেন, বিহারে এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২২ বছরের ব্যবধানের পর রাজ্যের ভোটার তালিকা স্বচ্ছ ও সঠিক হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা ভারতের ভোটারদের অভিনন্দন জানাই। সফল এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আমি বিহারের সকল ভোটারকে আবেদন করছি, গণতন্ত্রের এই উৎসব উদযাপন করুন ঠিক যেমনভাবে আপনারা ছট উৎসব পালন করেন। সবাই ভোট দিন এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।”তিনি বলেন, “বিহারের ২৪৩ আসনের বিধানসভা নির্বাচন ২২ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে, যেদিন বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ১,২০০ জন পর্যন্ত সীমিত রাখা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ফোন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।”তিনি জানান, ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। এবার ইভিএম-এর ব্যালট পেপারে প্রার্থীর ছবির সঙ্গে সিরিয়াল নম্বর রঙিন হবে, যাতে শনাক্তকরণ সহজ হয়।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটার শনাক্তকরণ প্রথাগত নিয়ম অনুযায়ী হবে। তিনি বিহার বিজেপি প্রধান দিলীপ জয়সওয়ালের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, ভোটকেন্দ্রে বোরখা পরিহিত মহিলাদের যাচাই প্রক্রিয়া একই নিয়মে হবে।সম্প্রতি এসআইআর প্রক্রিয়ায় আধার কার্ডের অনুমোদন বিতর্ক নিয়ে জ্ঞানেশ কুমার আবারও স্পষ্ট করেন যে, ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় আধার গ্রহণ করা হয়েছে, তবে আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, এটি কেবল পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

দুদিনের পাটনা সফরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যের জাতীয় ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার লক্ষ্যে প্রশাসনিক অধিকর্তা এবং রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।