
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন যে, দেশজুড়ে ১০টি সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের কাজ চলছে। ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২৫-এ এই ঘোষণা করা হয়, যা সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের জন্য ভারতকে একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ওপর জোর দেয়।
ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন (ISM)-এর অধীনে প্রায় ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই প্রকল্পগুলি অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে অ্যাডভান্সড প্যাকেজিং থেকে শুরু করে কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
টাটা ইলেকট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (TEPL)
তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কর্প (PSMC)-এর অংশীদারিত্বে গুজরাটের ধলেরায় একটি সেমিকন্ডাক্টর ফেব্রিকেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করছে।
টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট প্রাইভেট লিমিটেড (TSAT)
এই সংস্থার দুটি প্রকল্প, যার মধ্যে একটি আসামের মোরিগাঁওয়ে এবং অন্যটির অবস্থান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
সিজি পাওয়ার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস লিমিটেড
গুজরাটের সানন্দে ভারতের প্রথম এন্ড-টু-এন্ড আউটসোর্সড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্ট (OSAT) পাইলট প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
এইচসিএল এবং ফক্সকনের যৌথ উদ্যোগ
উত্তর প্রদেশে একটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট স্থাপন করবে।
কেইন্স সেমিকন প্রাইভেট লিমিটেড
গুজরাটের সানন্দে অবস্থিত ইউনিট, যেখানে ৩,৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ভারতের আমদানিনির্ভরতা কমানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স সরবরাহ শৃঙ্খলে দেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করে প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, টেলিকম সরঞ্জাম এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনে ভারতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।