
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসলাম খান জেলার রত্তা কুলাচি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুক্রবার রাতে এক আত্মঘাতী হামলা ও পাল্টা গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা ও ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
ঘটনা ঘটে রাত ৮ টার দিকে, যখন জঙ্গিরা বিস্ফোরক ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রধান গেটে আঘাত করে। বিস্ফোরণের পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পোশাকে সজ্জিত জঙ্গিরা প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং গোলাগুলি চালানো শুরু করে।
প্রায় ২০০ জন প্রশিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষক ওই সময় কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রতিহত করতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, যা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তীব্র বন্দুকযুদ্ধে পরিণত হয়। এতে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত, ১৩ জন আহত হন। পাল্টা লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ৬ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে এবং তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক, অস্ত্র ও আত্মঘাতী বিস্ফোরণের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি নিহত পুলিশ সদস্যদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। হামলার পর প্রশিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল, তবে পরে তারা বিবৃতি প্রত্যাহার করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা ১০,০০০-এর বেশি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে, যার ফলে ৯৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
তবে অনেকের মতে, এই ধরনের হামলা নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিফলন।