
আজ নাট্যোৎসবের সূচনা দিনে বহরমপুর উজান সকাল থেকে আয়োজন করে এক নাট্য কর্মশালার। বিষয়টিকে অ্যাকাডেমিক গুরুত্ব দিতে সহযোগী আয়োজক হিসেবে যুক্ত করা হয়েছিল, মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র ‘এ’ গ্রেড কলেজ, বহরমপুর গার্লস কলেজ কে।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায়, যিনি গৌড়ীয় নৃত্য ধারার জগৎ বিখ্যাত অধ্যাপক। ছিলেন ড. শৈবাল রায়, জেলার মানুষ হলেও দেশে বিদেশে একটা পরিচিতি তাঁর ও রয়েছে। সাথে ছিলেন নাট্যগোষ্ঠীর সিনিয়র কর্মীরা।
আয়োজন সংসার সম্পাদক নির্ঝর সান্যাল জানান, ” নাটক নিয়ে উৎসাহী নতুন ছেলেমেদের কাছে এরকম অ্যাকাডেমিক এক্সপিরিয়েন্স সত্যই বিরল। আমন্ত্রিত প্রশিক্ষকদের কাছে পেয়ে আয়োজক ও নতুনের দল, আমরা দুজনেই খুশি। ”

সন্ধ্যায় প্রথাগত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ব্যতিক্রমী করে তোলে স্মারক পত্রিকার প্রচ্ছদ উন্মোচন। সাধারণ ভাবে এই স্মারক পত্রিকাগুলি বিজ্ঞাপন ছাপানোর উদ্দেশ্যই কেবল সাধন করে আজকাল। কিন্তু উজান গোষ্ঠী জেলার তিন তরুণ অধ্যাপক, পম্পি সিদ্ধান্ত, চরণ টুডু ও আল মামুন হাসানের সাহায্যে প্রকাশ করতে চলেছে আঠারো ও উনিশ শতকের বাঙালির রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস । গবেষক মণ্ডলীর পক্ষে আধ্যাপিকা সিদ্ধান্ত জানান “এটা পুরোপুরি একটা সিরিয়াস গবেষণা, উজানের পক্ষথেকে আমাদেরই এক সিনিয়র সহকর্মীকে গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ, অধ্যাপক দর্শন চৌধুরীর দুরন্ত কাজটির প্যাটার্নটি ভেঙে একটা নতুন ডাইমেনশন তুলে আনা। উজান এমন উদ্যোগ এই প্রথম নিল এমন নয় কিন্তু, আগের বছরই এ ধরণের গবেষণামূলক কাজে উৎসাহ দেওয়া শুরু করেছেন ওরা। “
নিজেদের একটা দুটো প্রোডাকশন এবং কিছু কল শো দিয়ে যেভাবে এই নাট্যোৎসবগুলি অন্তত ছোট শহরে যেভাবে হয়, দুটি উদ্যোগই সে দিক থেকে ব্যতিক্রমী ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে চলেছে উজান বহরমপুরের হাত ধরে।
