
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে টিটিপি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ফের সেনা অভিযান চালানো হয়েছে। পাকিস্তান সেনা জানায়, অভিযানে অন্তত ৩৪ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়, যেখানে গোপন সূত্রে খবর অনুযায়ী টিটিপি জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল। সেনার উপস্থিতিতে বিদ্রোহীরা গুলি চালালে তাদের পাল্টা হানায় এই সংখ্যা নিহত হয়।
এক সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার সংঘর্ষবিরতির চুক্তি হয়েছিল। তবে সংঘর্ষবিরতি শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানি সেনারা সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান শুরু করে। পূর্ববর্তী হামলার মধ্যে রয়েছে কাবুল এবং পকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা, যেখানে টিটিপির ঘাঁটি ধ্বংস করার লক্ষ্য ছিল। এই হামলা আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের সঙ্গে সংযোগযুক্ত সময়ে সংঘটিত হয়।
সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের অভিযান প্রথম নয়। পাকিস্তানি বাহিনী সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পুনরায় বিদ্রোহী শিবিরগুলোতে অভিযান চালিয়েছে। আফগান তালিবান সরকার ও স্থানীয় উপজাতি নেতাদের শান্তি বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল।
সেনা ও পুলিশ সূত্রের মতে, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিদ্রোহীরা লুকিয়ে থাকা সত্ত্বেও তাদের অবস্থান সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান প্রশাসন বিদ্রোহী কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তবে সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের সংঘর্ষের কারণে স্থানীয় জনগণ এখনও বিপদে আছে।
পাকিস্তান সেনার এই অভিযান, সীমান্তবর্তী এলাকায় টিটিপির প্রভাব কমানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সীমান্ত নিরাপত্তা এবং বিদ্রোহী দমন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদে আরও জোরদার করা হবে বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে।
সংক্ষিপ্ত সময়ে পাক সেনার অভিযান এবং সংঘর্ষবিরতির অমিল সীমান্তে স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিস্থিতি আরও কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
