
অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম মিশো শীঘ্রই শেয়ার বাজারে আসতে যাচ্ছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি বাজার নিয়ন্ত্রক সেবিতে (SEBI) আপডেটেড ড্রাফট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস জমা দিয়েছে এবং সেবি তা অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে মিশো মেনবোর্ড লিস্টিংয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
মিশো নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে প্রায় ৪,২৫০ কোটি টাকা এবং অফার ফর সেল (OFS) এর মাধ্যমে ২৫০-৩০০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে চাইছে। মোট আইপিওর আকার প্রায় ৬,৫০০-৭,০০০ কোটি টাকার মধ্যে থাকবে। এই অর্থ ব্র্যান্ডিং, কর্পোরেট চাহিদা এবং প্রযুক্তিগত খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়া ৩০-৩৫ দিন সময় নেবে, তারপর কোম্পানি আইপিও চালু করবে এবং শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করবে।
মিশো ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, কোম্পানির লাভজনকতা এখনও স্থিতিশীল নয়। ২০২৪ অর্থবছরে মিশোর আয় ছিল ৭,৬১৫ কোটি টাকা, কিন্তু ৩০৫ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। ২০২৫ সালে নিট লোকসান বেড়ে ৩,৯৪১ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে নিট লোকসান ছিল ২৮৯ কোটি টাকা। আইপিও মিশোকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।
মিশো এখন জেপ্টোর মতোই আইপিওর মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহকারী ইউনিকর্ন কোম্পানির তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ইউনিকর্ন হলো সেই স্টার্টআপ যাদের মূল্যায়ন ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আপডেট করা প্রসপেক্টাস অনুযায়ী এলিভেশন ক্যাপিটাল, পিক XV পার্টনার্স এবং ভেঞ্চার হাইওয়ে প্রধান বিনিয়োগকারীর মধ্যে থাকবেন। প্রোমোটার বিদিত আত্রে ও সঞ্জীব বার্নওয়ালও OFS এর মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করবেন।
বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি সাপেক্ষ, তাই বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। মিশো আইপিও শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি বড় খবর হিসেবে দেখা যাচ্ছে, যা শীঘ্রই বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
