
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উৎসবের মরশুমে গভীর রাতে মন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। অভিযোগ, তাজমুল ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বুলবুল সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের রক্তাক্ত করে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বুলবুল খানের অনুসারীরা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সদরে ভিড় জমাতে শুরু করে এবং পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করে।
দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও শেষে পুলিশ আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ঘটনা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কতটা তীব্র তা স্পষ্ট করে। বুলবুল খানের অনুসারীরা এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে, অন্যদিকে মন্ত্রী তাজমুল হোসেন দাবি করেছেন, তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নন। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে বারবার দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছে। দুর্গাপূজার সময়ও বুলবুলের ঘনিষ্ঠদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল, যা এ সংঘর্ষের পটভূমি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দলীয় কোন্দলের পেছনে মূলত পূর্ববর্তী পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের খারাপ ফলাফলকে নিয়ে ক্ষোভ থাকা একটি বড় কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এবং বুলবুলের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ প্রায় নিয়মিত। বিজেপি এই পরিস্থিতি ব্যবহার করে তৃণমূলের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
হরিশ্চন্দ্রপুরের এই সংঘর্ষ রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়াচ্ছে এবং এলাকার সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। ঘটনাটি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ও নেতৃত্বের দুর্বলতা প্রকাশ করছে। এলাকার পরিস্থিতি এখনো সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে পুনরায় সহিংসতার ঘটনা এড়ানো যায়।
