
দিল্লি পুলিশ দেশকে বড়সড় সন্ত্রাস হামলার হাত থেকে রক্ষা করেছে। রাজধানীর সাদিক নগর ও ভোপালে যৌথ অভিযানে পুলিশ দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন আদনান, যিনি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দা, আরেকজন দিল্লির বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা আইএস সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং রাজধানীতে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক কষছিল।
গ্রেফতারিদের কাছ থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং নাশকতার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই গ্রেফতারি রাজধানীতে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দিল্লি পুলিশ আরও একটি পাকিস্তান-ঘেঁষা সন্ত্রাস মডিউল ভেঙে ফেলেছিল। তখন ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ ও রাজধানী জুড়ে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অভিযুক্তরা ভারতে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছিল এবং বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পাকিস্তানভিত্তিক হ্যান্ডলাররা সোশ্যাল মিডিয়ার এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত এবং অস্ত্র ও রাসায়নিক সরবরাহের নির্দেশ দিত।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের উদ্দেশ্য শুধু বিস্ফোরক তৈরি নয়, বরং দেশের মধ্যে আত্মনির্ভর সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং উগ্র মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া। এই গ্রেফতারি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা সক্রিয় ও সতর্ক তা প্রমাণ করছে। পুলিশের নজরদারি ও যৌথ অভিযান দেশের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসের পরিকল্পনা প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে।
এই ধরণের অভিযান জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
