
দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। বর্তমান প্রধান বিচারপতি দীপ্তি চন্দ্র গাভাই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি সূর্য কান্তের নাম সুপারিশ করেছেন। ২৪ নভেম্বর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ৫১তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
সূর্য কান্তের আইনজীবী থেকে প্রধান বিচারপতির আসনে ওঠার যাত্রা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব সামলান। সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত হওয়ার পর থেকে তিনি সংবিধান সংশ্লিষ্ট বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার বেঞ্চে ছিলেন।
সবচেয়ে আলোচিত মামলাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ মামলা। সেই ঐতিহাসিক রায়ে বিচারপতি সূর্য কান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সংবিধানের মূল কাঠামো, কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্ক, এবং নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে তাঁর পর্যবেক্ষণ বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল।
সূর্য কান্তের বিচারব্যবস্থার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সর্বদাই মানবিক ও বাস্তবমুখী। সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তিনি বারবার বিচারব্যবস্থার সহজলভ্যতা ও স্বচ্ছতার ওপর জোর দিয়েছেন। পরিবেশ সংরক্ষণ, নারী নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা সম্পর্কিত বিভিন্ন রায়ে তাঁর অবস্থান ছিল স্পষ্ট ও প্রগতিশীল।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বিচারব্যবস্থার বিলম্ব কমানো এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করা। আইনি মহলে আশা করা হচ্ছে, সূর্য কান্তের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট নতুন যুগে প্রবেশ করবে, যেখানে ন্যায় আরও দ্রুত ও সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
