
মধ্যমগ্রামে চিকিৎসকের রহস্যময় মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত চিকিৎসকের নাম ডক্টর শুভজিৎ আচার্য, যিনি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি সহকর্মীদের কাছে দক্ষ ও শান্তস্বভাবের চিকিৎসক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁর এই মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহল ও স্থানীয়দের মধ্যে।
সূত্রের খবর, ডক্টর আচার্য মধ্যমগ্রামের শিশুর কুঞ্জ এলাকায় নিজের পরিবার নিয়ে থাকতেন। শনিবার রাতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হৃদযন্ত্রের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি নিয়মিত কিছু ওষুধ সেবন করতেন। প্রাথমিক অনুমান, সেই ওষুধের অতিমাত্রা শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে প্রাণঘাতী প্রভাব ফেলে।
ঘটনার পর তাঁর দেহ বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক মহলে এই অকাল মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহকর্মীদের মতে, তিনি কর্মঠ ও দায়িত্ববান চিকিৎসক ছিলেন, সম্প্রতি কোনও মানসিক চাপ বা শারীরিক অসুস্থতার কথা প্রকাশ্যে জানা যায়নি।
তদন্তকারীরা ওষুধের বোতল ও প্রেসক্রিপশন পরীক্ষা করে দেখছেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা নয়, বরং ওষুধের অতিমাত্রা জনিত দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
চিকিৎসকের এই হঠাৎ মৃত্যু শুধু মধ্যমগ্রাম নয়, আরজিকর হাসপাতালের চিকিৎসক মহলেও গভীর শোকের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সহকর্মী ও প্রাক্তন রোগীরা তাঁর স্মৃতিচারণ করে জানান, “এমন একজন দক্ষ চিকিৎসকের মৃত্যু সত্যিই অপূরণীয় ক্ষতি” এমনটাই বলছেন অনেকে।
