
ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবার স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন না। বরং তাঁর লক্ষ্য ২০২৮ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে ফেরা। সংবিধান অনুযায়ী দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকা যায় না, কিন্তু ৭৯ বছরের ট্রাম্প তাতে থামছেন না। ইতিমধ্যেই তাঁর সমর্থকেরা ‘Trump 2028’ লেখা টুপি পরে প্রচারে নেমে পড়েছেন।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে ট্রাম্প কি সংবিধানের ফাঁক খুঁজে তৃতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরতে চান? কেউ কেউ বলছেন, তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরে প্রেসিডেন্টের পদ নিতে পারেন। কিন্তু মার্কিন সংবিধানের ১২তম সংশোধনী সেই পথ বন্ধ করে দিয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা আছে, যিনি প্রেসিডেন্ট পদে অযোগ্য, তিনিও ভাইস-প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে রিপাবলিকান শিবিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ তাঁকে “রাজনৈতিক ফিনিক্স” বলছেন, কেউ আবার মনে করছেন এ কেবল জনমোহনের কৌশল। বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স এবং বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর প্রশংসা করে ট্রাম্প জানান, তাঁরা দু’জনেই দারুণ কাজ করছেন এবং একসঙ্গে থাকলে কেউ তাঁদের আটকাতে পারবে না।
এদিকে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে টোকিওতে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প। দু’দেশের মধ্যে ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জাহাজ নির্মাণ, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কৃষিজ পণ্যের বাণিজ্য। তাকাইচি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের মনোনয়নের কথাও বিবেচনা করছেন বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প আবারও বিশ্বমঞ্চে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন। যদিও সংবিধান তাঁকে কতটা সুযোগ দেয়, সেটাই এখন আমেরিকার রাজনীতিতে বড় প্রশ্ন।
