
টানা বৃষ্টিতে শুক্রবারের সুপার কাপ ডার্বিকে ঘিরে ঘনাচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ। একইরকম কালো মেঘ বাগান শিবিরের অন্দরেও। ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করে এই মুহূর্তে অনেকটাই ব্যাকফুটে মোলিনার ছেলেরা। পরিস্থিতি এমনই, সেমিফাইনালে জায়গা পাকা করতে শুক্রবার মারগাঁওয়ের ফাতোরদা স্টেডিয়ামে হারাতেই হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের। এদিকে কয়েকদিন ধরেই আকাশের মুখ ভার। চলছে ভারী বর্ষণ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এমন তেড়ে বৃষ্টি নামে যে একটা সময় মনে হচ্ছিল হয়ত প্র্যাকটিস সেশন বন্ধ রাখবে মোহনবাগান। কিন্তু মাত্র এক ম্যাচেই ডেম্পোর সঙ্গে ড্র করতে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছে যে, অনুশীলন স্থগিত রাখার চিন্তা এখন স্বপ্নেও করতে পারছেন না বাগান কোচ। বৃষ্টির মধ্যেই ছাত্রদের নিয়ে উতোরদার মাঠে নেমে পড়েন তিনি।
মেরিনার্স শিবিরের দমবন্ধকর পরিবেশটা খেলোয়াড়দের চোখেমুখেও স্পষ্ট। বৃষ্টির মধ্যে দিমিত্রি পেত্রাতোস, টম অলড্রেডরা জার্সি পরেও নামলেন না মাঠে। বদলে অনুশীলন সারলেন না সেই সমস্ত ফুটবলাররা, যাঁরা আগের ম্যাচে ছিলেন না শুরু থেকে। গ্যালারিতে বসে থাকা অলড্রেডের বাঁ পায়ের গোড়ালির ওপর দেখা গেল গভীর ক্ষত। আইসবাথ নিতে দেখা গেল সাহালকে। সাধারণ পোশাকে মাঠের বাইরে থাকলেন দীপক টাংরিও।
উল্টোদিকে লাল-হলুদ শিবিরের ছবিটা এই মুহূর্তে একেবারেই আলাদা। শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করতে মোহনবাগানের যেখানে ছাড়া গতি নেই, সেখানে ইস্টবেঙ্গলের কেবল ড্র করলেই চলবে। চেন্নাইয়ান এফসিকে ৪ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর এই মুহূর্তে দু ম্যাচ ৪ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগানের থেকে গোল পার্থক্যের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে অস্কার ব্রুঁজোর দল।
মশাল কোচকে সবথেকে বড় ভরসা দিচ্ছে বিপিনের ফর্ম। চেন্নাইয়ান এফসির বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছেন তিনি। গোল পেয়েছেন সিবিলেও। সব মিলিয়ে, এই একপেশে জয়ের পর ডার্বির আগে আত্মবিশ্বাসের একেবারে সপ্তম স্বর্গে বিচরণ করছেন বিপিন-মহেশ-রশিদরা।
