
বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের স্কুলবাগান সুভাষপল্লীতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। বুধবার দুপুরে মেয়ের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেন ক্ষিতীশ চন্দ্র মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে ভারতে চলে আসেন এবং ইলামবাজারেই পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা যায়, এদিন ক্ষিতীশবাবু মেয়ের বাড়িতে আসেন। কিছুক্ষণ পর তাঁকে ঘরের ভিতর গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ভিড় জমে যায়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ক্ষিতীশবাবু মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসনের নতুন SIR ব্যবস্থা নিয়ে তিনি প্রচণ্ড আতঙ্কে ছিলেন। এই আতঙ্কই তাঁকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
ঘটনার খবর পেয়ে ইলামবাজার ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব নিহতের বাড়িতে পৌঁছান। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান ও কোর কমিটির সদস্য রবি মুর্মু। তাঁরা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং প্রশাসনের কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় SIR আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই নথিপত্র যাচাই নিয়ে উদ্বিগ্ন। ক্ষিতীশবাবুর মৃত্যুর পর সেই আশঙ্কা আরও বেড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে মামলা রুজু হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুরো এলাকা এখন গভীর শোক এবং আতঙ্কে আচ্ছন্ন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ক্ষিতীশবাবু শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তাঁর এমন মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। ইলামবাজারে এই আত্মহত্যা নতুন করে প্রশাসনিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
