
দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডে মাত্র ২০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট জমা দিল নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে মোট ছয় জনের, যার মধ্যে নির্যাতিতার এক সহপাঠীও রয়েছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছিল নির্যাতিতার সহপাঠী ওয়াসেফ আলি। সেই রাতেই সে নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে হোস্টেল থেকে বেরিয়েছিল এবং পরে হোস্টেলে ফিরেছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই ওয়াসেফ গা-ঢাকা দেয়।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়াসেফ আলি ছাত্রীটির উপর যৌন নির্যাতন চালায় এবং তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন অপরাধে জড়িত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, শেখ রিয়াজউদ্দিন ও শেখ সফিক নামের দুই অভিযুক্ত ধর্ষণের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতার মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগও দায়ের হয়েছে।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, বাকি অভিযুক্ত অপু বাউরি ও শেখ নাসিরউদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং পুরো ঘটনায় সহযোগিতা করেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের অভিযোগ যোগ হয়েছে। চার্জশিটে মোট ১৮টি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, নারী সংক্রান্ত অপরাধ, চুরি ও ডাকাতির মতো মারাত্মক অপরাধ।
বিশেষ সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী দুই সেশনের মধ্যেই বিচার সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে। মাত্র কুড়ি দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা পড়ায় পুলিশের তৎপরতা প্রশংসিত হয়েছে। দুর্গাপুরের এই ঘটনায় শহরজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে, সহপাঠীর বিশ্বাসঘাতকতায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
