
আলিপুরে ১১ বছরের এক নাবালিকার রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য বাড়ছে। প্রথমে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, মৃতার ঠাকুমা প্রতিমা সিং এবার সরাসরি খুনের অভিযোগ তুলেছেন নিজের ছেলে ভোলা সিং এবং তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী পূজা সিংয়ের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মৃতা মেয়েটি আরজিকর ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি। কয়েক বছর আগে তার জন্মদাত্রী মায়েরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার পরই ভোলা সিং নিজের স্ত্রীর বোন পূজাকে বিয়ে করেন।
ঠাকুমার দাবি, বিয়ের পর থেকেই নাতনির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। নাতনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও বাধা দেওয়া হত, এমনকি ঠাকুমাকেও বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না। অভিযোগ, প্রায়শই বেল্ট দিয়ে মারা হত শিশুটিকে। একই অভিযোগ তুলেছেন গৃহশিক্ষিকাও—তিনি জানিয়েছেন, পড়াশোনার নামে নাবালিকাকে দিনের পর দিন নির্যাতন করা হত, রাতে জাগিয়ে রাখা হত, এমনকি পড়া না পারলে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেওয়া হত।
অক্টোবরের প্রথম দিকে ভবানীপুরের বিদ্যাসাগর কলোনিতে একটি আলমারির ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক ময়না তদন্তে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মেলায় পুলিশ প্রথমে সেই দিকেই তদন্ত চালায়। তবে ঠাকুমার নতুন অভিযোগে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে আলিপুর থানায়। ঘটনার পুনর্গঠন শুরু করেছে পুলিশ এবং নতুন প্রমাণ সংগ্রহের কাজও চলছে।
এই নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমে সামনে আসছে একের পর এক বিস্ময়কর তথ্য। ফলে আলিপুরের এই রহস্যঘেরা মৃত্যু এখন রাজ্যজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে।
