
বেঙ্গালুরু শহরের গায়ত্রী নগরে এক ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ২৫ বছরের এক তরুণীর পচাগলা ঝুলন্ত দেহ। মৃতা কর্নাটকের ডাভানগেরে জেলার বাসিন্দা এবং একজন এমবিএ স্নাতক। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ও দেড় বছর ধরে একাই থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বাড়ির আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে বাড়িওয়ালা সন্দেহ করে দরজা ভাঙেন। ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, তরুণী ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা কয়েকদিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর মানসিক অবস্থা কিছুদিন ধরে ভাল ছিল না, এবং প্রাথমিক অনুমান অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। দেহ উদ্ধারের সময় আংশিক পচন ধরায় মৃত্যুর সঠিক সময় জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে মৃত্যু কবে হয়েছে।
পুলিশ তরুণীর মোবাইল ফোন ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছে, যাতে তাঁর শেষ যোগাযোগ ও মানসিক অবস্থার সূত্র পাওয়া যায়। পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন সম্পর্কেও তদন্ত চলছে।
এই ঘটনা আবারও বড় শহরগুলিতে একাকীত্ব ও মানসিক চাপের সমস্যাকে সামনে এনেছে। একা থেকে কাজের চাপে থাকা অনেক তরুণ-তরুণীর জীবনে বাড়ছে অবসাদ ও মানসিক অস্থিরতা। সমাজতত্ত্ববিদদের মতে, শহুরে জীবনের বিচ্ছিন্নতা এখন এক ভয়াবহ সামাজিক সংকেত।
সুব্রামণ্যনগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হলেও পুলিশের ধারণা তরুণী কয়েক দিন আগেই আত্মঘাতী হয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আলোচনায় এসেছে একা থাকা তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন উদ্বেগ।
