
বিহারের নির্বাচনী মঞ্চে তেজ প্রতাপ ও তেজস্বীর মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন রূপ নিয়েছে, যা লালু-রাবড়ি পরিবারকে আরও বিভক্ত করেছে। বড় ছেলে তেজ প্রতাপ দীর্ঘদিন ধরে দলের নীতি ও কর্মকাণ্ড নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন। ছোট ছেলে তেজস্বীকে লালু প্রসাদের উত্তরসূরি হিসেবে নির্বাচিত করা হলে বড় ছেলের অসন্তোষ আরও বাড়ে। কিছু মাস আগে এক ব্যক্তিগত ঘটনা ঘিরে তেজপ্রতাপকে পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে দূরে সরিয়ে দেন লালুপ্রসাদ। এখন ভোটের ময়দানে দুই ভাই একে অপরের মুখ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
তেজস্বী রাঘোপুর কেন্দ্রে প্রচারে দলের শৃঙ্খলার গুরুত্ব জোর দিয়েছেন, যদিও তিনি সরাসরি তেজপ্রতাপকে নিশানা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। বড় ছেলে তেজ প্রতাপও প্রতিশোধাত্মক সুরে বলছেন, গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষই শেষ কথা এবং দলের উপরে কেউ নয়। এই বাকযুদ্ধ কেবল দুই ভাই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, লালু-রাবড়ির সাত কন্যাও এই দ্বন্দ্বে জড়িত হয়েছে। বড়দিদি মিশা ছোট ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে দলের শৃঙ্খলার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, আর মেজো দিদি রোহিনী বড় ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে জনগনের উপরে দলের চেয়ে কেউ বড় নয় এই বার্তা দিয়ে রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলকে সুযোগ দিয়েছে তেজস্বীকে আক্রমণ করতে। তবুও, লালুপ্রসাদ পরিবারের ভিতর এই বিভাজন নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। পারিবারিক ও রাজনৈতিক লড়াই একসাথে নির্বাচনী প্রচারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা বিহারের ভোটের ফলাফলের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
এই অবস্থায় লালু-রাবড়ির পরিবার ও আরজেডি দলের ভেতরে ক্ষমতা, শৃঙ্খলা এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিতর্ক নির্বাচনী মঞ্চকে আরও উত্তপ্ত করেছে। ভোটারদের দৃষ্টিতে এই পরিবারিক দ্বন্দ্ব নতুন রাজনৈতিক নাটক হিসেবে ধরা দিচ্ছে, যা বিহারের রাজনীতিকে আরও জটিল এবং চাঞ্চল্যময় করে তুলেছে।
