
ফারিদাবাদের ধাউজ গ্রামের নিঃশব্দ পরিবেশে হঠাৎই নেমে এসেছে তীব্র আলোচনার ঝড়। দিল্লির রেড ফোর্ট বিস্ফোরণ ও তথাকথিত ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাস মডিউল মামলার তদন্তে উঠে এসেছে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। হরিয়ানার এই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় এখন তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক ড. মুজাম্মিল গনাইয়ের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে প্রায় ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে রেড ফোর্টের কাছে যে গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়েছিল, সেটির চালক ছিলেন ওই কলেজেরই আরেক অধ্যাপক ড. উমর উন নবি।
এই ঘটনায় তদন্ত আরও ঘনীভূত হয়েছে, কারণ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের নবগঠিত শাখা জামাত-উল-মোমিনাতের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে আরও এক চিকিৎসক, ড. শাহিন সাঈদকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৭ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করা আল ফালাহ ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়। প্রায় ৭০০ শয্যার হাসপাতালসহ এর মেডিক্যাল কলেজ ২০১৯ সালে চালু হয়। এখানকার অধিকাংশ শিক্ষক ও ছাত্র জম্মু-কাশ্মীর, মেওয়াত ও বিহার থেকে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ওয়েবসাইটে দাবি করা হলেও জাতীয় স্বীকৃতি সংস্থা NAAC-এর অনুমোদন বহু আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের ‘রুম নাম্বার ১৩’-ই ছিল বিস্ফোরক পরিবহন ও হামলার ছক তৈরির মূল ঘাঁটি। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত এক মৌলভীকেও আটক করে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই, তারা শুধুমাত্র সরকারি দায়িত্বে কাজ করছিলেন। তদন্তে তারা পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলেও জানানো হয়েছে।
